শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৭ অপরাহ্ন

হাজীগঞ্জে নিখোঁজের তিনদিন পর পুকুর থেকে বাপ্পীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চারজন গ্রেফতার

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ৪৮০ বার পঠিত
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩, ৭:১৫ অপরাহ্ণ

 

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী নিখোঁজের তিনদিন পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়েরকৃত মো. আবু বকর বাপ্পী (৩২) হত্যা মামলায় সন্দেহজনক আসামি হিসাবে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করে পিবিআই। তারা হলেন, হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন রান্ধুনীমুড়া গ্রামের বৈষ্ণব বাড়ির গৌতম চন্দ্র সাহা (২৭), একই বাড়ীর জীবন সাহা নিরব ওরফে সাগর (২৫), অন্তু সাহা (২৯) ও লাকসামের বাসিন্দা বর্তমানে মকিমাবাদ সেবাশ্রমে বসবাসকারী সুকেশ কান্তি চৌধুরী (৪৩)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই, চাঁদপুর এর উপ-পরিদর্শক মো. আমিরুল ইসলাম মীর সংবাদকর্মীদের জানান, গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সাথে জড়িত হওয়ার বিষয়টি এখনো স্বীকার করেনি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মামলার তদন্তকালে বাদীর এজাহার পর্যালোচনায় ঘটনাস্থলের আশেপাশের লোকজনদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ, মোবাইলের কললিষ্ট ও তদন্তে সন্দেহ হওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সুকেশ ও গৌতম মামলার বাদী সেলিম মিয়ার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিনদিন পর ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ১১নং ওয়ার্ডের রান্ধুনীমুড়া গ্রামের সোলেমান বেপারী বাড়ি ওরফে হুনার বাড়ির পুকুর থেকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি আলহাজ সেলিম মিয়ার বড় ছেলে মো. আবু বকর বাপ্পীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে ওই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় বাপ্পী। পরবর্তীতে তার কোন খোঁজ না পেয়ে পরদিন তার বাবা আলহাজ¦ মো. সেলিম মিয়া হাজীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি (নং- ১০৪১) করেন। নিহত মো. আবু বকর বাপ্পী পৌরসভাধীন ৫নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী এবং মো. আব্দুল্লাহ্ (৫) ও আদিবা (৩) নামের দুই শিশু সন্তান রয়েছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে পৌরসভাধীন রান্ধুনীমুড়া এলাকার সোলেমান বেপারী বাড়ির পুকুরে মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন, তৎকালীন হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন রনি ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদসহ জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) মো. সুমন মিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
পরে পুলিশ পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন এবং ঘটনার সাথে জড়িত বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে নিখোঁজ বাপ্পীর পরিবারের লোকজন উপস্থিত হয়ে তার মরদেহ নিশ্চিত করেন। এরপর চাঁদপুর সদর হাসপাতাল ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে বাপ্পীর মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। ওইদিন রাতেই তার জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন এবং পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি পরিবারের পক্ষ থেকে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে নিহত আবু বকর বাপ্পীর বাবা আলহাজ মো. সেলিম মিয়া সংবাদকর্মীদের জানান, ওই সময়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ, পিবিআইসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন এবং আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। আশাকরি খুব শীঘ্রই রহস্য উদঘাটন করবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর