সব ধরনের ক্রিকেটে দুই বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন নাসির হোসেন। সঙ্গে রয়েছে ছয় মাসের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। দুর্নীতিবিরোধী আইন ভাঙায় তাকে এই শাস্তি দিয়েছে আইসিসি। খবর নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট দুনিয়ার অভিভাবক সংস্থাটি।
আইসিসি নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী বিধির তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনে মূলত ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর। এ কারণে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সাময়িক নিষিদ্ধ হন নাসির। তিনটি অভিযোগই স্বীকার করেছেন বাংলাদেশের তারকা এ অলরাউন্ডার। এবার নিষিদ্ধ হলেন তিনি সব ধরনের ক্রিকেটে।
নাসিরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল। এরই তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন। শর্ত মেনে পুনরায় একই ভুল না করলে স্থগিত নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাবেন। অন্যথায় কার্যকর হবে স্থগিত নিষেধাজ্ঞা শাস্তি। শাস্তি বাড়বে আরও ছয় মাস।
নাসির হোসেন দুর্নীতি দমন আইনের যে তিনটি ধারা ভেঙেছেন-
ধারা ২.৪.৬ – সম্ভাব্য দুর্নীতিমূলক আচরণের বিষয়ে তদন্তে সহযোগিতা করেননি নাসির হোসেন। আইসিসি দুর্নীতি দমন কোডের অধীনে তদন্তকারীদের সহায়তা করার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, নাসির সেই বাধ্যতামূলক কাজটি করেননি।
ধারা ২.৪.৪- দুর্নীতির যে প্রস্তাব পেয়েছেন, তা আইসিসির মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন নাসির। সঙ্গে যে কারণে বিষয়টি জানাতে পারেননি, তার যুক্তি সঙ্গত কোনো ব্যাখ্যাও দিতে পারেননি।
ধারা ২.৪.৩- ৭৫০ মার্কিন ডলার বা তারও বেশি মূল্যের উপহার নিয়েছিলেন নাসির হোসেন। যদিও সেই তথ্য দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাকে জানাননি।
নাসির ২০১১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশের হয়ে ১১৫টি ম্যাচ খেলে করেন ২৬৯৫ রান। সঙ্গে নেন ৩৯ উইকেট।