মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৩২ অপরাহ্ন

কর্মমূখী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ও মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করবো ——– চেয়ারম্যান প্রার্থী বেনজির আহমেদ সুমন

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ২৫৯৫ বার পঠিত
আপডেট : শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:২৫ পূর্বাহ্ণ

চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫নং ঘুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ঢাকাস্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রাক্তম ছাত্রলীগ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক তরুন সমাজ সেবক বেনজির আহমেদ সুমন। ইতিমধ্যে ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের যুবসমাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাক্তিগত ইমেজ তৈরী করে তুলেছেন। নির্বাচনী মাঠে প্রার্থী হিসেবে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন বেনজির আহমেদ সুমন।

বর্তমান বৈশ্বিক করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে প্রথম যখন সাধারন মানুষের মাঝে আতঙ্ক তৈরী হয়েছিল ঠিক তখনই ইউনিয়নের তৃনমূল পর্যায়ের কর্মহীন হয়ে যাওয়া শ্রমজীবী অসহায় সাধারণ গরিব পরিবারের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সাধ্যানুরুপ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বেনজির আহমেদ সুমন। শুধুু তাই নয় নিজ এলাকার হাটবাজারগুলোতে জনসচেতনতা মূলক প্রচারনাসহ বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দিরে হাত পরিস্কার করার সাবান , ডেটল ও ভাইরাস ধ্বংস করার জন্য স্প্রে বিতরন করেছেন তিনি। এসব সেবামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করা সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পরিচালনার মাধ্যমে এলাকায় বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি। এবছর তিনি তার সংগঠন ঢাকাস্ত ফরিদগঞ্জ প্রাক্তম ছাত্রলীগ ফোরামের উদ্যোগে করোনা রুগিদের জন্য ৩০ টি গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করেছিলেন। সাথে সাথে কয়েকশ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন।

বেনজির আহমেদ সুমন ইউনিয়নের ৩০ বছরের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার সন্তান। তার বাবার মাধ্যমেই যুদ্ধ পরবর্তীতে ইউনিয়নে ব্যাপক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। বর্তমানে ইউনিয়নে যে কয়েকটি বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে তা বেনজির আহমেদ সুমনের বাবার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

বেনজির আহমেদ সুমনের সঙ্গে একান্ত আলাপে যে দিকগুলো উঠে আসে তা শুধু তার ইউনিয়নকে ঘিরে কিভাবে উন্নয়ন করা যায় সেই প্রসঙ্গ নিয়ে । বেনজির আহমেদের বাবা একজন উচ্চ শিক্ষিত এবং পারিবারিক ভাবে সম্পদ শালী একজন মানুষ। ৩০ বছর চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় নিজের সম্পত্তি বিক্রি করে ইউনিয়নের জনগনের সেবা করেছেন। বেনজির আহমেদ সুমনও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত একজন মানুষ।

তিনি ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনেও আওয়ামীলীগ থেকে মনোয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দল থেকে নমিনেশন পাননি। দলের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে নৌকার প্রার্থির পক্ষে নির্বাচনে কাজ করেছেন।

মাদক নিয়ে প্রশ্ন করলে বেনজির আহমেদ সুমন বলেন, আমাদের ইউনিয়টি মাদকের পাইকারী বাজারে পরিনত হয়েছে। হাজীগঞ্জ উপজেলা ও রায়পুর উপজেলার পাশা-পাশি ইউনিয়ন হওয়াতে মাদক বিক্রেতারা অতি সহজে প্রশাসনকে ধোকা দিয়ে এই ব্যবসা করে যাচ্ছে। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি করে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে এই ইউনিয়ন থেকে চিরতরে মাদক ব্যবসা ও সেবন দুটোই বন্ধ করে দেব।

শিক্ষা নিয়ে আরেকটি প্রশ্নের জবাবে বেনজির আহমেদ সুমন বলেন, আমার স্বপ্ন আমি আমার ইউনিয়নে জেনারেল শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমূখী শিক্ষার ব্যবস্থা করবো। যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের কর্ম জীবনে চাকুরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হতে এই কর্মমূখী শিক্ষাকে কাজে লাগাতে পারে।

বেনজির আহমেদ সুমন বলেন, আমার ইউনিয়নের রাস্তাগুলো খুবই খারাপ । জনগন ঠিকমত চলাচল করতে পারছেনা। আমি চেয়াম্যান নির্বাচিত হলে আমার ইউনিয়নের রাস্তাগুলো পাঁকাকরনে বিশেষ ভূমিকা রাখবো।

স্থানীয় পর্যায়ে এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে ইউনিয়নের ছোট-বড় হাট-বাজারের চায়ের দোকান গুলোতে সকাল-সন্ধ্যার পর আড্ডায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে চুলছেড়া বিশ্লেষন করেছেন সাধারন ভোটাররা। সেখানেও উঠে এসেছে বেনজির আহমেদ সুমনের নাম। সাধারণ ভোটারদের বলতে শুনা গেছে যতজন প্রার্থী এবার ইউপি নির্বাচনে নির্বাচন করবে শুনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে বেনজির আহমেদ সুমনই সেরা । কারন সে নিতে নয় আমাদের দিতে আসবে। তার বাবাও ৩০ বছর চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় এই ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন করে গেছেন। যা সারাজীবন এই ইউনিয়নের জনগন ভুলবেনা।

বেনজির আহমেদ সুমন নিজ এলাকার কাঞ্চনপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, কুমিল্লা ভিক্টরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী করে উত্তরা ইউনিভার্সীটি থেকে এমবিএ করে বর্তমানে ঢাকায় নিজের ব্যবসা ও বিভিন্ন সংগঠন নিয়ে ব্যস্ত আছেন।

বেনজির আহমেদ সুমন ১৯৯৬ সালে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৯৭ সালে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকাস্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রাক্তম ছাত্রলীগ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

পরিশেষে তিনি বলেন, আমার পারিবারিক-সামাজিক-রাজনৈতিক-দিকগুলো দেখে দল আমাকেই নমিনেশন দিবে বলে আমার বিশ্বাস। দলের প্রতি সবসময়ই আমার বিশ্বাস ছিলো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর