চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটন করলো, চাঁদপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ শনিবার ( ২৩ অক্টোবর ), সন্ধ্যায় পিবিআই জেলা কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এ জোড়া হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের বিষয়টি জানান, পিবিআই পুলিশ সুপার খন্দকার নূর রেজওয়ানা পারভীন। ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে চাঁদপুর পিবিআই পুলিশ সুপার বলেন, শাহরাস্তির চাঞ্চল্যকর নুরুল আমিন দম্পতি হত্যার ঘটনার সাথে প্রত্যক্খভাবে জড়িত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ঘুঘুসাল গ্রামের মোঃ আব্দুর রবের ছেলে মোঃ আব্দুল খালেক (৩৪), ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান গ্রামের মৃত – আজহার আলির ছেলে মোঃ ইলিয়াছ হোসেন (৫৩) এবং বরিশালের কাউনিয়া থানার চরবাড়িয়া গ্রামের মৃত – কাঞ্চন হাওলাদারের ছেলে মোঃ বশির (৪৫)।পিবিআই বলেন, মূলত চুরির উদ্দেশ্যই আসামিরা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। গত ১জুলাই শাহরাশ্তির নাওড়া গ্রামের রেলক্রসিং সংলগ্ন আমিন সাহেবের বাড়ির মৃত – আব্দুল মজিদের ছেলে নুরুল আমিনের (৬৫) মৃতদেহ বাড়ির ছাদে এবং তার স্ত্রী কামরুন নাহারকে (৬০) রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় ফ্লোরে পাওয়া যায়। পরে ৩ জুলাই কামরুন নাহার হাসপাতালে মারা যান। এঘটনায় নিহতদের ছেলে মোঃ জাকারিয়া বাবু (৩৮) গত ১জুলাই বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় অঞ্জাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি শাহরাশ্তি থামায় ১ মাস তদন্তের পর বাদীর আবেদনে আদালতের নির্দেশে চাঁদপুর পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।পিবিআই লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের আরো বলেন, আসসমিরা জিঞ্জাসাবাদে জানায়, ঘটনার রাত ৭ টায় ভিকটিম নুরুল আমিনের বাড়ির কলাপসিবল গেইট খোলা পেয়ে চুরির উদ্দেশ্যে সিড়ি দিয়ে ছাদে প্রবেশ করে অবস্থান করে। ভিকটিম নুরুল আমিন আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় ছাদে উঠলে আসামি পিছন থেকে রড দিয়ে ভিকটিমকে মাথায় আঘাত করে এবং গলার মোজা পেচিয়ে নুরুল আমিনকে হত্যা করে। এর পর আসামি ছাদ থেকে ঘরে প্রবেশ করে চুরির উদ্দেশ্যে রুমে প্রবপশ করে কেবিনেটের ড্রয়ার খোলে। এ সময় কমরুনাহার টের পেয়ে রুমের লাইট জ্বালিয়ে আসামি আ: মালেককে চিনতে পারায় তাকেও লোহার রড দিয়ে মাথাশ আঘাত করে। এতে ভিকটিম কমরুন নাহারর অচেতনহয় ফ্লোরে পরে যায়। পরে মালেক মৃত নুরুল আমিনের ব্যবহৃত Oppo A 83 মডেলের মোবাইল নিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত রডটি বাড়ির পেছনে ফেলে পালিয়ে যায়। পিবিআই’র পুলিশ সুপার খন্দকার নূর রেজওয়ানাপারভীন আরো বলেন, পিআিআই ডিআইজি বনজ কুমার মজএজদার বিপুএম (বার) পিপিএম এর তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় এবং আমার সার্বিক সহযোগীতায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কবির আহমেদ মাত্র তিন মাসের মধ্যেই এ মামলার আসামীদের গ্রেফতার করে জোড়া হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছে। এতে বাদী পক্ষও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।