নিজস্ব প্রতিনিধি
হাজীগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। স্থানীয় লোকদের সহযোগিতা নিয়ে দিব্যি পাকাভবন নির্মাণের কাজ চলমান রেখেছেন প্রতিপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে গত ২৬ নভেম্বর চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের (এডিএম কোর্ট) ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৪৫ ধারা মোতাবেক অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে।
এ থেকে পরিত্রান পেতে বাদীপক্ষ ৯৯৯ ফোনে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজনের সহযোগিতা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন প্রতিপক্ষ রাসেল পাটওয়ারী। এমনটি দাবী করেন বাদীপক্ষ। ঘটনাটি উপজেলার কালচোঁ দক্ষিন ইউনিয়নের রামপুর বাজারে ঘটেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রামপুর গ্রামের মৃত ডাঃ মো. হাফিজ উদ্দিন বেপারী ১৯৫৯ সালে দূর্গাচরন সাহার থেকে সম্পত্তি ক্রয় (দলিল নং-১৪৬৮) করেন। তার মৃত্যুর পর ছেলে মমিনুল হকসহ অন্যান্য ওয়ারিশগন পৈত্রিক সূত্রে মালিক ও দখলে থেকে নাল সম্পত্তি মৎস্য চাষের উপযোগী করেন। এরপর থেকেই বাদী মমিনুল হকের নিজ অংশ এবং রামপুর বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদ ও অন্যান্য শরীকগনের অংশ লীজ নিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছেন।
কিন্ত উপজেলার হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মৈশাইদ গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির শরীফ পাটওয়ারী খরিদ সূত্রে মালিকানা সম্পত্তি দাবি করে তার ছেলে রাসেল পাটওয়ারী স্থানীয় লোকজন নিয়ে গত ১৮ নভেম্বর সকাল ৯টায় পুকুরের পানি সেচ দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন থেকে প্রতিপক্ষ রাসেল পাটওয়ারী লোকবল নিয়ে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের পায়তারা করে।
পরে মমিনুল হক নিরুপায় হয়ে গত ২৬ নভেম্বর ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চাঁদপুর জেলা বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারা বিধানমতে মামলা দায়ের করেন। যার দরখাস্ত মোকদ্দমা নং-১৩৭৬/২০২৩ইং। আদালতে নিষেধাজ্ঞা ও চাঁদপুর ল্যান্ডসার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালত বিরোধকৃত সম্পত্তি নিয়ে মামলা চলমান থাকার পরও সম্পত্তি দখল করায় অসহায় হয়ে পড়েছেন বাদী মমিনুল হক।
ভূক্তভোগী ও আদালতের মামলার বাদী মমিনুল হক বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষরা কোন অদৃশ্য শক্তির বলে ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছেন আমার বোধগম্য নয়। ভবন নির্মান করে সম্পত্তি দখল থেকে পরিত্রাণ পেতে আমি আবারও আদালতের স্বরনাপন্ন হবো।
নিজ মালিকানাধীন সম্পত্তিতে কাজ করছেন উল্লেখ্য করে প্রতিপক্ষ রাসেল পাটওয়ারী বলেন, মমিনুল হক যে দাগের উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা এনেছেন আমরা ওই দাগের মধ্যে ভবন নির্মাণ কাজ করছিনা। তিনি নিষেধাজ্ঞা এনেছেন ১৬০৯ দাগে আর আমরা কাজ করছি ১৬০৫ দাগে। এ সময় তিনি জানান, ইতিমধ্যে তিনি আইন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং আদালতের নির্ধারিত তারিখের মধ্যেই তিনি নিষেধাজ্ঞার জবাব দিবেন।
