রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

বগুড়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে আহত ৩০

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ২৪২ বার পঠিত
আপডেট : বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩, ৫:৫৭ অপরাহ্ণ

বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলের ডাকা পঞ্চম দফার অবরোধে প্রথম দিনে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিসহ দুই পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার বেলা সড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা বগুড়া মহাসড়কের খেরজুরতলা এলাকায় এই সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।

আহতরা হলেন, শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা, এসআই হাসান, কনস্টেবল মো.শামীম, মো. রেজাউল, মো. আলফাজ, সাংবাদিক এ জেট হিরা ও জাতীয় শ্রমিক লীগ শেরপুর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাজেদুল ইসলাম, সুঘাট ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সীমাবাড়ি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, ২নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল হোসেনসহ ৭জন, বিএনপি-সেচ্ছাসেবক দলের আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অবরোধ সমর্থনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি জি এম সিরাজের নেতৃত্বে একটি মিছিল দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়। মিছিলটি ঢাকা বগুড়া মহাসড়কের হাসপাতাল রোডের মোড়ের সামনে পৌছালে একই সময় ওই এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের মিছিল আসে। সমাবেশস্থলের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় সেখানে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে ৫ জন পুলিশ সদস্য, একজন সাংবাদিক, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১৫ নেতাকর্মী আহত হন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু অভিযোগ করে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম। হাসপাতাল রোড এলাকায় এলে আওয়ামী লীগের লোকজন পিছন থেকে এসে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা ঘুরে প্রতিহত করার চেষ্টা করতেই পুলিশ টিয়ারশেল ছুঁড়তে শুরু করে। এতে আমাদের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় জানতে চাইলে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ভুট্টু বলেন, এ ঘটনায় বিএনপিই দায়ী, বিএনপি আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ প্রথমে আমাদের দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়ে হামলা করে। তারপর আমাদের লোকজন তা প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে যায়। এসময় তারা ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটায়। এতে আমাদের অন্তত ৭ জন আহত হন।

এ ঘটনায় বিএনপি জামায়াতের সঠিক তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আমিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও ১০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর