সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১০:১৬ অপরাহ্ন

দেশের প্রথম ১২ লেনের নান্দনিক ৩০০ ফিট সড়ক উদ্বোধন আজ

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ২৩২ বার পঠিত
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩, ১২:৪২ অপরাহ্ণ

দেশের প্রশস্ততর আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় এক্সপ্রেসওয়ে ১২ লেনের নান্দনিক ৩০০ ফিট মহাসড়ক। এই সড়কটিকে আধুনিক ঢাকার নতুন গেটওয়ে বলা হয়। আধুনিক নির্মাণশৈলী আর নান্দনিকতায় ভিন্নমাত্রা পেয়েছে সড়কটি। যাতে রয়েছে ৮টি এক্সপ্রেসওয়ে। সড়কটি পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র আট থেকে ১০ মিনিট। এরই মধ্যে সড়কটির শতভাগ কাজ শেষ। আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ভার্চুয়ালি সড়কটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সড়কটি চট্টগ্রাম, সিলেট, নরসিংদী ও গাজীপুর ছাড়াও আশপাশের জেলার সঙ্গে ঢাকার নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের পথ তৈরি করবে। যা হবে দেশের পথপ্রদর্শক।

জানা যায়, কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে পূর্বাচলের কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত মাত্র ১২ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়ক। রাজধানীর প্রগতি সরণি ও বিমান বন্দর সড়কের সঙ্গে পূর্বের ইস্টার্ন বাইপাসকে সংযুক্ত করবে এই সড়কটি।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, সাড়ে ১২ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে রাজধানীর কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে ১২ লেনবিশিষ্ট। এর মধ্যে ৮ লেন সড়ক হবে এক্সপ্রেসওয়ে। বাকি ৪ লেন সড়ক হবে স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য সার্ভিস রোড।

এ ছাড়া বালু নদী থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক হবে ১২ লেনের। এর মধ্যে ৬ লেন সড়ক হবে এক্সপ্রেসওয়ে। বাকি ৪ লেন হবে সার্ভিস রোড।

একই সঙ্গে লেক খনন ও উন্নয়নে কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরণির উভয় পাশে ১২ দশমিক ৩ কিমি, বোয়ালিয়া খাল-৫ দশমিক ২ কিমি, ডুমনি খাল-৪ দশমিক ৪০ কিমিসহ মোট ২৬ কিমি লেক খনন করা হয়েছে।

 

প্রকল্পের মধ্যে নিকুঞ্জ খাল খনন ও উন্নয়ন (৭৫০ মিটার দীর্ঘ) তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া খালের ওপর ১৩টি আর্চ ব্রিজ নির্মাণ, রাস্তার ওপর বিভিন্ন স্থানে ১২টি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।

তৈরি করা হয়েছে পাঁচটি ইন্টারসেকশন। এর মধ্যে কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত দুটি ও বালু নদী থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত তিনটি ইন্টারসেকশন। নির্মাণ করা হয়েছে স্লুইসগেট ও পাম্প হাউস।

একই সঙ্গে ৬টি আন্ডারপাস, ৩৬ দশমিক ৮ কিমি ওয়াকওয়ে, ১২ দশমিক ৫ কিমি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ৬টি স্থানে ফুটওভার ব্রিজ, ১১৭০টি সড়ক বাতি স্থাপন ও ১১টি সাবস্টেশন স্থাপন এবং রোপণ করা হয়েছে ৬০ হাজার নানান প্রজাতির গাছ।

প্রসঙ্গত, প্রকল্পটির সর্বপ্রথম মেয়াদ ছিল ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট। ২০১৫ সালে প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৫ হাজার ২৮৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এর সঙ্গে তিনটি খাল, সড়ক, সেতুসহ আনুষঙ্গিক বিষয় যুক্ত হওয়ায় সংশোধিত প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৫ হাজার ৪২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। এতে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩২৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। পাশাপাশি প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর