রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৬ অপরাহ্ন

চুয়াডাঙ্গায় শীতের শুরুতে খেজুর গাছ কাটায় ব্যস্ত গাছিরা

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ২৬৬ বার পঠিত
আপডেট : বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০২৩, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় চলে এসেছে শীতের আগমনী বার্তা। সকাল ও সন্ধ্যায় হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে হালকা কুয়াশায় ঢেকে পড়ছে চারদিক। তাই শিশির ফোটায় জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। শীতের আমেজের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার গাছিরা রস সংগ্রহের জন্য গাছ প্রস্ততের কাজ শুরু করেছে। প্রতিদিন সকালে হালকা শীত উপেক্ষা করে গাছিরা তাদের গাছ কাটার যন্ত্র নিয়ে গাছ পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পার করছে।

জানা গেছে, এবার গাছ কাটার যন্ত্রের দাম বেড়েছে। প্রতিদিন গাছিরা ৬০ থেকে ৭০টি গাছ কেটে প্রস্তত করছে। এতে তাদের দৈনিক পারশ্রমিক পাচ্ছে ৮০০ টাকা। বাজারে সবজিনিসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে চাহিদা মতো গাছিদের পারশ্রমিক মিলছে না বলছে গাছিরা। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গাছ কাটছে এবার গাছিরা। গাছ প্রস্তত করার পর শুরু করা হবে রস সংগ্রহ। এরপর তৈরি হবে উৎকৃষ্ট মানের গুড় ও পাটালি। এই জেলার গুড় ও পাটালি চুয়াডাঙ্গাসহ সারাদেশের কয়েকটি জেলায় তা সরবরাহ করা হয়। প্রতিবারের মতো এই জেলার গুড় ও পাটালি সুনাম বিখ্যাত। ভেজাল ও চিনি মুক্ত গুড় ও পাটালি তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করে তাদের অর্থনেতিক অবস্থা পরিবর্তন করে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এবার চুয়াডাঙ্গা সদরে ৯৮ হাজার ৫০০ টি গাছ। আলমডাঙ্গায় ৪৫ হাজার ৫১০ টি গাছ, দামুড়হুদায় ৯ হাজার ২০০ টি গাছ, জীবননগরে ৩৭ হাজার ৪৫০ টি গাছ। মোট এবার খেজুর গাছের সংখ্যা ২ লাখ ৭১ হাজার ৯৬০ টি গাছ প্রস্তত করা হচ্ছে। এতে এবার গুড়ের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। এই লক্ষমাত্রা গুড়ের বিক্রির পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রতিবার এই গাছ প্রস্ততে কর্মসংস্থান হয়ে প্রায় ৩০ হাজার কৃষকের।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বেলগাছি গ্রামের কৃষক হামিদুল বলেন, চুয়াডাঙ্গায় শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। তাই রস সংগ্রহের জন্য খেজুর গাছ কেটে প্রস্তত করা হচ্ছে। তারপর তৈরি হবে গুড়। এখান কার গুড়ের সুনাম আছে। প্রতিবার এই গাছ কেটে আমরা আমাদের অর্থনেতিক চাহিদা মিটায়। গুড় পাটালি বিক্রি করা হয় বাজারে। আর কয়দির গাছে গাছে মাটির ভাড় বেধে দেওয়া হবে রস সংগ্রহের জন্য।

অপর কৃষক রহমত আলি বলেন, এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছ কেটে প্রস্তত করা হচ্ছে। প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ টি গাছ কেটে প্রস্তত করছি। দৈনিক পারশ্রমিক পাচ্ছি ৮০০ টাকা। এতে কিছুই হচ্ছে না। সবজিনিসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে চাহিদা মতো পারশ্রমিক মিলছে না। গাছ কাটার যন্ত্রের দাম বেড়েছে। গাছ কাটার পারশ্রমিক মূল্য আরও বাড়ালে ভালো হতো।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে গাছ কাটার তোড়জোড়। তাই তো এখন গাছিরা তাদের গাছ কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। আর কয়দিন পর গাছ কাটা শেষ হলে রস সংগ্রহ করা হবে। তারপর তৈরি করা হবে উৎকৃষ্ট মানের খেজুরের গুড় ও পাটালি। প্রতিবারই কৃষকরা এই শীত মৌসুমে খেজুরের গুড় পাটালি বিক্রি করে তারা তাদের জীবাকা নির্বাহ করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর