স্টাফ রিপোর্টার।।
চাঁদপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডে ভাড়াবাড়িতে এতিমখানা নাম দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জিটি রোড উত্তর বিষ্ণুদী বারেক আখন্দের বাড়িতে। আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা নাম সাঁটিয়ে বিভিন্ন দান অনুদানের টাকা কালেকশন করছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) দারুল উলুম মাদ্রাসাটি ২০১৯ সালে মঞ্জু আখন্দ থেকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে মহিলা মাদ্রাসা নামে শুরু করেন। এর কয়েকদিন পরেই আবার দেখি ছেলেরাও পড়াশোনা করছেন। পরে দেখি আবার মাদ্রাসা সাথে এতিমখানা নাম দিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে। বোরহানউদ্দিন জানান, মহিলা মাদ্রাসা নামে ছিল। পড়াতেন পুরুষ শিক্ষক। এই জন্য আমার ভাতিজিকে আমি এখান থেকে অন্যত্র নিয়ে গেছি। সাহাবুদ্দিন জানান, আকিকার জন্য ছাগল কিনতে এক লোক টাকা দিয়েছে। হুজুর ছয় মাসের ছাগল কিনে জবাই করায় এ বিষয়ে এলাকার সমালোচনা হয়েছে। হুজুরকে জিজ্ঞেস করলে বলে জায়েজ আছে। অথচ অন্য অন্য ওলামায়ে কেরাম জানিয়েছেন আকিকা হোক আর কুরবানীর জন্য হোক ছাগলের বয়স এক বছর হতে হবে।
রামিম পাটওয়ারী জানান, আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) দারুল উলুম মাদ্রাসাটি ছাত্র-ছাত্রী পড়াচ্ছেন। এ মাদ্রাসা নাকি দাখিল এর মান। অথচ তিনি কেবল হাফেজ হয়েছে। তবে তিনি কোথাও খতম তারাবীহ পড়ান না। নামে হাফেজ, নামাজে নয়।রোজার ঈদে ঈদগাহ মাঠে কালেকশন করতে চাইলে আল-আমিন মসজিদ কমিটি উনাকে নিষেধ করে দেয়। মসজিদ কমিটি বলেন ভাড়াটিয়া মাদ্রাসার নামে কিসের কালেকশন।
নজরুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসায় সকাল বেলায় কিছু ছাত্র-ছাত্রী মক্তব্যে পড়ে। নিয়মিত ক্লাসে অত একটা ছাত্র-ছাত্রী নেই। ওনারা তিন ভাই মিলে এই মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। বলা যায় মাদ্রাসা দিয়ে তাদের সংসার চলে। ছাত্র-ছাত্রীর নাম বলে এলাকার থেকে কালেকশন করেন। তারপরও তিনি বলেন, এটা এসএসসি পর্যন্ত মাদ্রাসা দাবি করেন। এলাকার তো বেঙ্গের ছাতার মতো মাদ্রাসা। এগুলো কে তদারকি করবে। প্রশাসন তদারকি করলে সাধারণ মানুষ প্রতারণা থেকে রেহাই পাবেন বলে এলাকাবাসী দাবি করেন।
মাদ্রাসার সুপার ফয়জুল করিম ভাড়াটিয়া বাড়িতে এতিমখানা চালাচ্ছেন বলে তিনি স্বীকার করেছেন। ওই এলাকায় তো আরও বহু মাদ্রাসা আছে। আপনি কেন ভাড়ানিয়ে এতিমখানা ও মাদ্রাসা চালু করলেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান অত্র এলাকায় দাখিল অথবা কওমিতে শরহে বেকায়া পর্যন্ত কোন মাদ্রাসা নেই এ কারণে তিনি মাদ্রাসা চালাচ্ছেন। ফয়জুল করিমের দাবি কোরআনে হাফেজ এবং আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করেছেন ও কওমি মাদ্রাসা থেকে নাহুমীর পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। দাখিল মাদ্রাসার সুপার হতে হলেও কামিল পাস অথবা দাওরা পাস হতে হয়, এমন প্রশ্ন করলে তিনি আরো কথা বলতে রাজি হননি।