শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন

লাগামে আসতে শুরু করেছে পেঁয়াজের বাজার

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ৫৭ বার পঠিত
আপডেট : বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩, ৮:৪১ অপরাহ্ণ

ভারত থেকে আমদানি করা হবে এমন ঘোষণার পর কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিনে পণ্যটির দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এরই মধ্যে দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজও পৌঁছে গেছে। প্রায় এক মাস সীমান্তে এসে অপেক্ষমাণ থাকার কারণে ভারতীয় পেঁয়াজ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে বাজারে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা একটু বেশি।

তবে প্রায় দুই মাস অস্থির থাকার পর পেঁয়াজের বাজার লাগামে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে বাড়তির দিকে চিনির দাম। মণপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা বেড়ে গেছে চিনির দাম। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়তির দিকে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

খোঁজ নিয়ে গেছে, দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বুধবার (৭ জুন) দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দামের লাগাম টানতে গত ১৪ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কৃষি মন্ত্রণালয়কে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতি দিতে অনুরোধ করে। এরপর থেকে মূলত ভারতীয় পেঁয়াজবাহী ট্রাক সীমান্তে আসতে শুরু করে। তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না মেলায় সীমান্তে এসে অপেক্ষা করতে থাকে পেঁয়াজের গাড়ি। শেষমেশ গত ৫ জুন থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে দেশে পেঁয়াজের ট্রাক ঢুকতে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে অপেক্ষমাণ থাকার কারণে গাড়িতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। আবার মান একটু ভালো থাকায় বাজারে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা একটু বেশি বলে জানা গেছে।

চাক্তাইয়ের আফরা ট্রেডিংয়ের মালিক মো. আলাউদ্দিন আলো বলেন, ভারত থেকে খাতুনগঞ্জ-চাক্তাইয়ে পেঁয়াজবাহী ট্রাক ঢুকেছে। সীমান্তে বেশ কয়েকদিন অপেক্ষমাণ থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে পড়ছে। তবে আমাদের দেশি পেঁয়াজের মান ভালো এবং বিক্রিও হচ্ছে।

এদিকে খাতুনগঞ্জ-চাক্তাইয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার চিনি বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৪ হাজার ৫৮০ টাকায়। গতকাল (মঙ্গলবার) বিক্রি হয়েছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকায় এবং সোমবার বিক্রি হয়েছিল ৪ হাজার ৪৬০ টাকায়।

চাক্তাইয়ের জমজম ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান বলেন, বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সোমবার থেকে চিনির দাম একটু বাড়তির দিকে রয়েছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, চিনির তো তেমন কোনো সংকট নেই। দাম বাড়ানোর জন্য একটি চক্র কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। কোনোভাবে লাগাম টানা যাচ্ছে না। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে এরকম হয়েছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর