শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন

মতলব উত্তর নন্দলালপুর বাজার ইজারাদার জানেন না কত টাকা ইজারা

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ১৮৩ বার পঠিত
আপডেট : সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩, ৯:৫২ অপরাহ্ণ

মতলব উত্তর প্রতিনিধি 

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১৩নং ইসলামাবাদ ইউনিয়নের নন্দলালপুর বাজারের ইজারা নিয়েছেন সফিউল্লাহ নামক ব্যাক্তি। বাংলা সনের হিসেবেই এসব বাজার ইজারা দেয়া হয়। সফি উল্লাসহ আরো কয়েকজন মিলে প্রতিদিন এবং সাপ্তাহিক বাজারের দিন ইজারা টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে অনিয়ম করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়িদের অভিযোগ ইজারার টাকা উত্তোলনের করার ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে তারা এলাকার লোকজনের সাথে খারাপ আচরণ করেন।

সোমবার (৫ জুন) ছিলো সাপ্তাহিক বাজারের দিন। এদিন বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত বাজারে অবস্থান করে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে অনিয়মের বিভিন্ন তথ্য উঠে আসে। সাংবাদিকদের পরিচয় জানতে পেরে ইজারা উত্তোলন কাজে নিয়োজিত লিটন, মান্নান ও ইকবাল বাজার থেকে কেটে পড়ে।

বাজারের ইজারা সরকারি দপ্তরে নাম হচ্ছে সফিল্লাহ নামক ব্যাক্তির নামে। তাকে খুঁজে পাওয়া যায় সব্জির বাজারের পাশে। তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। অর্থাৎ পেঁয়াজ ও রশুন বিক্রেতা।

তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি কি এই বাজারের ইজারাদার। তিনি স্বীকার করেন আমি নিজেই ইজারাদার। কিন্তু বলতে পারেননি তিনি এই বাজার কত টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন। তিনি বলেন, কাগজে লেখা আছে কত টাকা ইজারা। তার মনে নেই। তিনি, লিটন, মান্নান ও ইকবাল নামক ব্যাক্তিই প্রতিদিন বাজার থেকে ইজারার টাকা উত্তোলন করেন। ইজারার টাকা উত্তোলনের পরিমান কত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটিও নির্দিষ্ট নেই। যার কাছ থেকে যা নেয়া যায়। ২০ থেকে ৫০টাকা।

অপরদিকে সাপ্তাহিক বাজারে এসে বসা বেশ কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাদের কাছ থেকে ইচ্ছেমত টাকা নেয়া হয়। কোন কোন দিন ১০০টাকাও নেয়া হয়। বাজারে এসে দোকান বসানো মাত্রই টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। বিক্রির আগেই তাদেরকে টাকা দিতে হবে। এই হচ্ছে ইজারাদারের লোকদের আচরণ।

ইসমাইল নামের একজন তাল বিক্রেতা বলেন, এই বাজারে ইজারাদার কয়জন জানিনা। তবে ৩ থেকে ৪জন এসে টাকা উত্তোলন করে। পারভেজ নামে ছোট বয়সের একজন সব্জি বিক্রেতা বলেন, বাজারে আসা মাত্রাই ইজারার টাকা দিতে হয়। শেষ সময়ে বাজারে আসলেও ইজারার টাকা মাফ নেই। কমপক্ষে ২০ টাকা হলেও দিতে হয়।

ইজারাদারের অংশীদার লিটন মুঠোফোনে বলেন, আমি টাকা উত্তোলন করি। আর কিছু বলতে পারবো না। বেশি কিছু জানতে চাইলে আমাদের বাতেন চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেন। এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

আরেক অংশীদার ইকবাল মুঠোফোনে বলেন, আমি কাজে ইসলামাবাদ এসেছি। আমি ইজারাদার না। কোন কথা বলতে চাইলে সফি উল্লার সাথে কথা বলেন। ইজারা উত্তোলনকারী মান্নানকে অনেক খুঁজেও বাজারে পাওয়া যায়নি।

বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মাছবাজার সংলগ্ন। বাজারে ইজারা উত্তোলন নিয়ে অনিয়মের বক্তব্যের জন্য তার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। দোকানে থাকা তার ছেলে জানান তিনি ব্যাক্তিগত কাজে ঢাকায় রয়েছেন।

এই বিষয়ে বক্তব্যের জন্য মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসিয়াল ফোন নম্বরে ফোন করা হয়। তিনি ছুটিতে আছেন ফোন রিসিভ করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। তিনি ইউএনও’র ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বর দেন। সেই নম্বরে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও ইউএনকে পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর