কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম ও মেঘালয়ে মৃত্যু বেড়ে ৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩০ লাখে পৌঁছেছে। বন্যার্তদের উদ্ধার অভিযানে ভারতের সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানানো হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, মৃতদের মধ্যে ২৪ জন আসামের এবং ১৮ জন মেঘালয়ের বাসিন্দা। এই এক সপ্তাহের বন্যায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গত শুক্রবার থেকে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যে। এতে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে আগরতলায়ও।
সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, গত ৬০ বছরের মধ্যে আগরতলায় এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। আকস্মিক বৃষ্টি ও বন্যায় আগরতলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মেঘালয়ের মাওসিনরাম ও চেরাপুঞ্জিতে ১৯৪০ সালের পর এবার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এরই মধ্যে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মাকে ফোন করে বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছেন এবং কেন্দ্র থেকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বন্যায় নিহতদের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামে ৪ হাজারেরও বেশি গ্রাম বন্যায় ডুবে গেছে। ১ লাখ ৫৬ হাজার মানুষকে ৫১৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। বন্যায় ভেঙে গেছে বেশ কিছু বেড়িবাঁধ, কালভার্ট ও সড়ক। আসামের হোজাই জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, সেখান থেকে এখন পর্যন্ত ২১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তিনজন শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে। অরুণাচল প্রদেশেও বন্যা দেখা দিয়েছে। সেখানে সুবানসিরি নদীর পানি বেড়ে গিয়ে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণাধীন বাঁধ ডুবিয়ে দিয়েছে।