শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মত দেউলিয়ার সুযোগ নেই

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ১২৭ বার পঠিত
আপডেট : শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পকে শ্রীলঙ্কার অপরিণামদর্শী মেগা প্রকল্পের সাথে তুলনা করে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে দেশবিরোধী অপশক্তি। শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশকে এখানে তুলনা করা মানে অপমান করার সামিল। কেননা বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যথেষ্ট সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। এরপরেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশ দেউলিয়াত্বের দিকে যাচ্ছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে বিশ্বের সামনে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে একটি কুচক্রীমহল।

অথচ দেশের চলমান মেগা প্রকল্পগুলো বিশ্লেষণ করে প্রকল্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন অপার সম্ভাবনার কথা। এসব প্রকল্প চালু হলে বাংলাদেশের উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ হবে। বেড়ে যাবে মোট দেশজ উৎপাদন।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জুনেই পদ্মা সেতু চালু হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ আরও কয়েকটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্বোধন হবার কথা প্রায় চূড়ান্ত।

বাংলাদেশের মেগাপ্রকল্পগুলোর মধ্যে সরকার পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সমুদ্রবন্দর, গভীর সমুদ্রবন্দর, এলএনজি টার্মিনাল বাস্তবায়ন করছে, তার একটাও অপ্রয়োজনীয় নয়; সবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজন। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সঙ্গে সঙ্গে রিটার্ন আসবে। দেশে বিনিয়োগ বাড়বে। কর্মসংস্থান হবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে।

বাংলাদেশের ছোট-বড় সব প্রকল্পেই কিন্তু বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইডিবি, জাইকাসহ অন্য উন্নয়ন সংস্থার ঋণ এবং নিজের অর্থ যোগ করেছে। এসব সংস্থার সুদের হার খুবই কম। অনেক বছর ধরে শোধ করা যায়। কোনো কোনো ঋণ অবশ্য পরবর্তী সময়ে অনুদান হিসেবে অন্য প্রকল্পেও দেয়। বিশেষ করে জাইকার বেশির ভাগ ঋণের ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে থাকে।

অন্যদিকে গত ১৫ বছরে শ্রীলঙ্কায় সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, রাস্তা এবং আরও নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানী কলম্বোর কাছেই সমুদ্র থেকে ভূমি উদ্ধার করে কলম্বো পোর্ট সিটি নামে আরেকটি শহর তৈরি করা হচ্ছে। এর কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ২৫ বছর এবং বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার। এই শহরটি হংকং, দুবাই ও সিঙ্গাপুরকে টেক্কা দেবে- এমন কথা বলা হচ্ছে। এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে শ্রীলঙ্কা ঋণ নিয়েছে, কিন্তু বিপুল অর্থ খরচ করা হলেও অনেক প্রকল্প অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হয়নি। গত এক দশকে চীনের কাছ থেকেই শ্রীলঙ্কা ঋণ নিয়েছে পাঁচ বিলিয়ন ডলার, যা তাদের মোট ঋণের ১০ শতাংশ।

এব্যাপারে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন নেই, এমন অনেক প্রকল্পও তারা করেছে। এসব প্রকল্পের সুদের হার অনেক বেশি। সেসব ঋণ সুদে-আসলে পরিশোধ করতে গিয়েই এখন বিপদে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে বাংলাদেশ নানা সম্ভাব্যতা যাচাই করেই প্রকল্পগুলো হাতে নিয়েছে। ফলে দেউলিয়া হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বাংলাদেশের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর