নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় শিশুসহ আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
শীতলক্ষ্যার কাঁচপুর সেতুর কাছাকাছি জায়গা থেকে মঙ্গলবার ভোরের দিকে এক শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। অন্যদিকে শীতলক্ষ্যার দক্ষিণপাড়ের শাহ সিমেন্ট এলাকায় আবদুল্লাহ আল জাবের নামে এক যুবকের মরদেহ ভেসে আসে।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত কর জানান, আজ ভোরের দিকে শীতলক্ষ্যার কাঁচপুর সেতুর কাছে এক শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সকালে শীতলক্ষ্যার দক্ষিণপাড়ের শাহ সিমেন্ট এলাকায় আবদুল্লাহ আল জাবের নামে এক যুবকের মরদেহ ভেসে আসে। ফায়ার সার্ভিস মরদেহটি উদ্ধারের পর পরিবার তার পরিচয় নিশ্চিত করে।
নৌ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, দুইজনের মরদেহ তীরে আনা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, রোববার (২০ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার আল-আমিন নগর এলাকায় সিটি গ্রুপের কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এম এল আফসার উদ্দিন নামে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করে শীতলক্ষ্যার পাড়ে আনা হয়। তবে লঞ্চের ভেতর কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।