শীত মৌসুম চলছে। স্বাভাবিকভাবে পৌষের শেষে শীতের তীব্রতা বাড়ার কথা। কিন্তু গতকাল থেকে সারা দেশে শীতের তীব্রতা কমেছে, বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। একদিনের ব্যবধানে দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টিপাতের পরে আবার কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আগের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগামী দুই দিনও তাপমাত্রা বেশি থাকবে। তবে ১১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা আবার কমতে থাকবে। জানুয়ারির শেষ দিকে একটি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তখন শীতের তীব্রতা বেশি থাকবে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আজ শনিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর টেকনাফে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইভাবে ময়মনসিংহে ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রামে ছিল ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিলেটে ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীতে ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুরে ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনায় ছিল ১৪ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।