মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
চাঁপুরের হাজীগঞ্জে আবারও হাতি দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (দোকান) ও যানবাহন থেকে চাঁদা তোলা হয়েছে। টাকা না দিলে হাতির সামনে দিয়ে কোনো যানবাহন যেতে পারছে না এবং টাকা না পাওয়া পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকেও হাতি সরছে না। তাও আবার একটি নয়, গত শনিবার দুইটি হাতি দিয়ে সড়ক ও সড়কের দুই পাশের দোকান থেকে সর্বনিন্ম ১০ টাকা আদায় করেন দুই জন মাহুত।
দেখা গেছে, হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ছোট-বড় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বলাখাল, হাজীগঞ্জ, আলীগঞ্জ ও এনায়েতপুর বাজারসহ সড়কের দুই পাশে অবস্থিত প্রায় ছোট বড় সকল দোকানের সামনে মাহুত হাতি নিয়ে দাঁড়ায়। এরপর শুঁড় তুলে সালাম দেয় হাতি। আবার শুঁড় এগিয়ে দিয়ে যানবাহনের চালক ও দোকানীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে মাহুতের হাতে তুলে দেয় সেই টাকা।
গত মঙ্গলবার কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বলাখাল আমির বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় দেখা গেছে, সড়কের চলাচলকারী সিএনজিচালিত স্কুটারসহ সবধরনের যানবাহনের পথ রোধ করে হাতি দিয়ে টাকা আদায় করছেন মাহুত এবং টাকা না দিলে হাতির সামনে দিয়ে কোনো যানবাহন যেতে পারছে না।
ঠিক একইভাবে গত শনিবার বিকালে হাজীগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়কের দুই পাশে দুইজন মাহুত দুইটি হাতি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে টাকা আদায় করছেন। দশ টাকার কম দিলে ওই হাতি টাকা নেয় না বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ওই সময় অনেকের মাঝে সাময়িক বিনোদনের খোরাক হলেও অনেক যানবাহনের চালক ও যাত্রী এবং ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ব্যবসায়ী ও চালকরা অভিযোগ করে বলেন, এক গাড়ি থেকে আরেক গাড়ি, এক দোকান থেকে আরেক দোকান ঘুরছে হাতি, পিঠে বসা হাতির মালিক। দোকান বা যানবাহন প্রতি সর্বনিন্ম ১০ টাকা করে চাঁদা নেয়া হচ্ছে। যতণ পর্যন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে দিচ্ছে না কেউ, ততণ পর্যন্ত শুঁড়ও তুলছে না এবং দোকান বা যানবাহনের সামনে থেকে হাতিও সরছে না। আর এভাবেই কিছু দিন পরপর হাতি দিয়ে চলে চাঁদাবাজি।
আবুল হাশেম নামের একজন পথচারী বলেন, হঠাৎ বাজারে হাতির দেখা পেলে ভালো লাগে। শিশু-কিশোররাও আনন্দিত হয়। তাই শখের বসে হাতিটির মাহুতকে যে যা পারবে দেবে। তাই বলে জিম্মি করে মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করাটা অন্যায়।
এ দিকে কিছু দিন পর পর হাতি নিয়ে চাঁদাবাজি করার বিষয়টি সবার নজরে এলেও এবং যানবাহনের চালক ও ব্যবসায়ীরা চাঁদা তোলার বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ বা বিরক্তিকর মনে করলেও থানায় কেউ অভিযোগ রাজি নয়।