বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩১ অপরাহ্ন

ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে ইমনের বক্তব্যে

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ১৫৭ বার পঠিত
আপডেট : সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:২৭ অপরাহ্ণ

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি অডিও ক্লিপ। এটি মূলত একটি ফোনালাপ। যেখানে কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। অন্য প্রান্তে ছিলেন চিত্রনায়ক ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।

সেই ফোনালাপে অশ্লীল ভাষায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে দেখা করার জন্য বলেন প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। চিত্রনায়ক ইমনকে তিনি বলেন, ঘাড় ধরে যেন মাহিকে তার কাছে নিয়ে যান।

ভাইরাল হওয়া ক্লিপটি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন নায়ক ইমন। তাকে নিয়ে অনেক ট্রলও হচ্ছে। এ অবস্থায় তিনি জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন ফাঁস হওয়া ফোনালাপটি সত্যি। তবে এটি সাম্প্রতিক নয়, বছর দুই আগের।

ইমন বলেন, আমি খুবই হতাশ হচ্ছি যারা আমাকে চেনেন ও জানেন তারাও আজেবাজে মন্তব্য করছেন। এত বড় একজন মন্ত্রী যখন আমাকে কল দেন আমি তো তাকে ইগনোর করতে পারি না। সবাই তো অডিও ক্লিপটি শুনেছেন। সেখানে মানুষের গলার স্বর শুনলেও তো বোঝা যায় কে কোন অনুভূতি নিয়ে কথা বলছেন।

আমাকেই ওই রাতের আগের দিনও তিনি কল দিয়েছিলেন। আমি ধরতে পারিনি। ওইদিন রাতে ওয়াজেদ আলী সুমন ভাইয়ের ‘ব্লাড’ সিনেমার মিটিং করছিলাম। তখন উনি (প্রতিমন্ত্রী) হঠাৎ ফোন দেন। অডিওতে কিন্তু আছে উনি প্রথমেই বলেছেন, তুই ফোন ধরস নাই কেন? আগের দিন ফোন ধরিনি বলে রেগেছিলেন।

একজন মন্ত্রী বারবার ফোন দিচ্ছেন আমি না ধরে তো থাকতে পারি না। তাই অনুষ্ঠানের মধ্যেই ধরেছি। বাকি আলাপ তো সবাই শুনেছেন। উনার আলাপ শুনেই কিন্তু আমি বাধ্য হয়ে বলেছি, ‘হ্যাঁ, ভাই আসতেছি। দেখছি ভাই। খারাপ কিছু কিন্তু বলিনি।

উনি কল দেওয়ার অনেক সময় পার হয়ে গেছে। আমি কিন্তু বারবার বলছি, ‘দু’মিনিট ভাইয়া, নামছি’। আমি চাইছিলাম যেন উনি ফোনটা রাখেন। মাহির সঙ্গে কি আলাপ হয়েছে সেটা কিন্তু আমি জানতে পারিনি। কারণ আমি মাহির হাতে ফোন দিয়ে ডিরেক্টরের সঙ্গে আলাপ করছিলাম। মাহি কিন্তু আমাকে কিছুই বলেনি এ ব্যাপারে। আমার জানার অপশনও ছিল না। এখন অডিওটা শুনে আমি জানতে পারলাম সেদিন মাহি কতোটা বিব্রত ছিলে।

সত্যি কথা বলতে ওই মুহূর্তে ওই কলটা আসলে আমি আশা করিনি। আমি বা মাহি কেউই কিন্তু যাইনি পরে। আমি শুধু ওই সিচুয়েশনটা ট্যাকেল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কারণ এখন যে যতো কথাই বলুক এত বড় একজন মন্ত্রী কল দিলে তার সঙ্গে বেয়াদবি করা যায় না, তাকে যা খুশি তা বলা যায় না। ভেবেছিলাম একটু পর সব ভুলে যাবেন। হয়েছিল তাই। এনিয়ে তিনি আর পরে কোনো কথা বলেননি।

ইমন আরও জানান, সেদিনের মিটিং হয়েছিল বনানীর একটি রেস্তোঁরায়। এরপর ইমন ও মাহি দুজনই যার যার বাসায় চলে যান।

ইমনের দাবি, একজন তথ্য প্রতিমন্ত্রী যেকোনো শিল্পীকে ফোন দিতেই পারেন। কিন্তু এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য। তিনি নিজেও হতাশ মাহির সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপ শুনে।

ইমন বলেন, অনেকে আমাকে নিয়ে নানা কথা বলে বেড়াচ্ছেন। আমি দীর্ঘদিন ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। আমাকে সবাই চেনেন ও জানেন। কি করে তারা আমাকে নিয়ে এসব বলছেন আমি বুঝে উঠতে পারছি না। আশা করি সবাই বিবেক দিয়ে সিচুয়েশনটা বোঝার চেষ্টা করবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর