বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন

ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে চট্টগ্রামের মেডিকেল বন্ধ ঘোষণা

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ২৩৩ বার পঠিত
আপডেট : শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১, ১১:১৫ অপরাহ্ণ

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আজ সন্ধ্যার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।

জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাত ১২টায় চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, হোস্টেলের ভেতরে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা থেকে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। শুক্রবার রাতে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির জের ধরে পরদিন আজ শনিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে আরেক দফা সংঘর্ষ বাধে। এতে তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন মাহফুজুল হক (২৩), নাইমুল ইসলাম (২০) ও আকিব হোসেন (২০)।

ঘটনার পর হাসপাতাল ও ক্যাম্পাস এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কী কারণে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি ওসি। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানান তিনি।

চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত কলেজ বন্ধ থাকবে। আমরা সব শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেছি। এছাড়া এ ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে ড. মতিউর রহমানকে।

এর আগে রাতে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে আহত দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চমেক সূত্র জানায়, রাতে আধিপত্য বিস্তারের জন্য দুই পক্ষই লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে আকিব শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। আর মাহফুজ ও নাইমুল ইসলাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

সকালে সংঘর্ষের পর চমেক একাডেমিক কাউন্সিলে কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। এর আগে গত মার্চে একই ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সিট দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সময় ছাত্রাবাসের বেশ কয়েকটি কক্ষে ভাঙচুর করা হয়। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় কয়েকজন গ্রেপ্তারও হন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর