টি-টোয়েন্টিতে চার-ছক্কার উৎসবের মাঝে মেডেন ওভার যেন ‘সোনার হরিণ’। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে কাঙ্ক্ষিত সেই মেডেন ওভারের দেখা মিলেছে খুবই কম। ১২০ বলে খেলায় ব্যাটসম্যানরা প্রথম থেকে শেষ ওভার পর্যন্ত থাকেন মারমুখী। বোলারদের জন্য তাই কোনো রান না দিয়ে ওভার শেষ করা কঠিন চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে জিতেছেন কমসংখ্যক বোলার। এই তালিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
রোববার ওমানের মাস্কাটে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা উপহার দিল এক রাশ হতাশা। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই বিব্রতকর হারের স্বাদ পেল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। বাংলাদেশকে ৬ রানে হারিয়ে আসর মাতিয়ে দিয়েছে স্কটল্যান্ড। আগে ব্যাট করে তাদের করা ১৪০ রানের জবাবে ১৩৪ রানে থামে বাংলাদেশ।
অথচ টস জিতে বল করতে গিয়ে তিন পেসার বাংলাদেশকে পাইয়ে দেন দারুণ শুরু। গতির ব্যাবহারে তাসকিন আহমেদ শুরুতেই ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন। মোস্তাফিজ তার প্রথম ওভারই করেন মেডেন। আর এই মেডেন ওভারের সাথেই সেরা দুইয়ে উঠেন ফিজ।
৫৩ টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ মেডেনের দেখা পান মোস্তাফিজ। ছুয়ে ফেলেন লঙ্কান সাবেক পেসার নুয়ান কুলাসেকারাকে। এখন ফিজের উপরে আছেন কেবল জাসপ্রিত বুমরাহ। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো লঙ্কান পেসার কুলাসেকারা ৫৮ ম্যাচে মেডেন ওভার করেন ৬টি। ভারতীয় পেসার বুমরাহ ৫০ ম্যাচে মেডেন নিয়েছেন ৭টি।
মোস্তাফিজ এদিন ছাড়িয়ে যান ৫টি করে মেডেন ওভার করা আরো ৬ বোলারকে। পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ আমির, ভারতের হরভজন সিং, শ্রীলঙ্কার অজন্তা মেন্ডিস, আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী, আরব আমিরাতের মোহাম্মদ নাভিদ এবং আয়ারল্যান্ডের ট্রেন্ট জনস্টন। একমাত্র মোহাম্মদ নবী ছাড়া বাকি পাঁচজনের সবাই বিদায় জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। আর বাংলাদেশিদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৪টি মেডেন দিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক।