শরীয়তপুরে “শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংক্রান্ত ফাইলে সই করেছেন।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে খড়সা আইন প্রণয়ন করার জন্য। দুপুরে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম তার ভেরিফাইড ফেজবুক পেইজে এ বিষয়ে তথ্য দেওয়ার পর শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ হয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শরীয়তপুরে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবী ছিল দীর্ঘদিনের। শরীয়তপুর ২ আসনের সাংসদ ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম গত বছর জাতীয় সংসদের অধিবেশনে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যাল স্থাপনের দাবী জানান।
‘শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের জন্য তিনি গত ১০ জুন শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনির কাছে একটি আধাসরকারি পত্র (ডিও লেটার) দেন। এর পরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হলে ৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন।
মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে চিঠি দিয়ে যুগোপযোগী খসড়া আইন প্রণয়নের অনুরোধ করে। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয় ‘শেখ হাসিন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মাহমুদুল আলম এ সংক্রান্ত চিঠিটিতে মঙ্গলবার সই করেন।
এ সকল বিষয় পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘আমাদের দক্ষিণাঞ্চল কৃষি ও নদী প্রধান এলাকা। এ অঞ্চলের পিছিয়ে পরা মানুষকে আরো সমৃদ্ধ করতে, নতুন প্রজন্মের কাছে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করার চেষ্টা ছিল আমাদের। একটি উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও ছিল। আমাদের সেই স্বপ্নকে ধারণ করে প্রধামন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করার। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদন দেয়ার পর ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’