মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন

প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার পর যে ১৬ নির্দেশনা মানতে হবে

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ২৪০ বার পঠিত
আপডেট : শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:০২ অপরাহ্ণ

দেশের স্কুল-কলেজ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে খুলতে যাচ্ছে। স্কুল খোলার পর কীভাবে চলবে এ সংক্রান্ত ১৬ দফা নির্দেশনা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

গত শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনাগুলো হলো-

> দৈনিক সমাবেশ বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে নিরাপদ দূরত্ব রেখে নিজেদের আসনে বসে হালকা শারীরিক কসরৎ (পিটি) করবে। কেউ প্রয়োজন মনে করলে পিটি করা থেকে বিরত থাকতে পারবে।

>> শিক্ষার্থীরা জিগজ্যাগ তথা জেড বিন্যাসে বসবে। প্রতি বেঞ্চে একজনের বেশি বসবে না। শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে একই শ্রেণিকে একাধিক গ্রুপে ভাগ করে একাধিক কক্ষ ও শিক্ষকের সহায়তায় পাঠদান চালাতে হবে।

>> পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যযক্রম বন্ধ থাকবে।

> পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম সপ্তাহের ছয় দিন চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন আসবে।

>> একই দিনে একই সময়ে সর্বোচ্চ দুটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসার ব্যবস্থা রেখে টিফিন বিরতি ছাড়া শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। সর্বোচ্চ ৩ ঘণ্টার মধ্যে শ্রেণি কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

>> শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় রেখে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে একাধিক শিফট কিংবা সপ্তাহের একেক দিন একেক শ্রেণির বা সর্বোচ্চ দুটি শ্রেণির পাঠদানের ব্যবস্থা রেখে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হালনাগাদ পাঠ্যসূচি অনুসরণ করবে। তবে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব হলে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অনুমতি নিয়ে পাঠদান পরিকল্পনা নেওয়া যাবে।

>> শ্রেণি কার্যক্রমে গ্রুপ ওয়ার্ক ও পেয়ার ওয়ার্কের মতো সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টিকারী শিখন কাজ আপতত বাদ রাখতে হবে।

>> শিক্ষকরা মাস্ক পরে ক্লাস নেবেন। শিক্ষার্থীদেরও মাস্ক পরা নিশ্চিত করবেন তিনি।

> ক্লাস শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারিবদ্ধভাবে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় ত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। সব শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের একত্রে শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করতে দেওয়া যাবে না। শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে একের পর এক কক্ষের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় ত্যাগ করবে।

>> একধিক শিফটে ক্লাস চললে, আগের শিফট ও পরের শিফটের ক্লাস শুরুর মাঝে অন্তত ৩০ মিনিটের বিরতি রাখতে হবে।

> শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ পানির বোতল নিয়ে বিদ্যালয়ে আসবে।

 

>> শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি ঘরে বসে শিখি, বাংলাদেশ বেতার ও সংসদ টেলিভিশনে পাঠদান কার্যক্রম, গুগল মিটের মাধ্যমে অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম ক্লাস রুটিনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অব্যাহত রাখতে হবে।

>> কোনো শিক্ষার্থী নিজে বা পরিবারের সদস্যদের করোনার লক্ষণ দেখা দিলে বা আক্রান্ত হলে বিদ্যালয়ে আসতে পারবে না। তারা ঘরে বসে শিখি ও অনলাইন পাঠদানে অংশ নেবে।

>> একই কারণে ওই শিক্ষার্থীকে ক্লাসে অনুপস্থিত গণ্য করা যাবে না।

> কোনও এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার স্বাস্থ্য অধিদফতর নির্দেশিত বিপৎসীমা ছাড়েয়ে গেলে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করবে।

>> প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর জারি করা নির্দেশিকা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রতিপালন করতে হবে।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ওই বছরের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়তে থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি।

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের শিক্ষা কার্যক্রমে গতি


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর