বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৬ অপরাহ্ন

কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম রঙে সেজেছে ধামরাই

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ৩৮ বার পঠিত
আপডেট : রবিবার, ২১ মে, ২০২৩, ৮:৩১ অপরাহ্ণ

চোখ ধাঁধানো কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম রঙে সেজেছে প্রকৃতি। কৃষ্ণচূড়ার রঙে রক্তিম ফুলে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা সেজেছে গ্রীষ্মের রৈদ্দুরের উত্তাপ গায়ে মেখে। রাস্তার দু’পাশে অগনিত কৃষ্ণচূড়ার গাছে ফুলের সমারোহ রঙ ছড়িয়ে হয়েছে নানা বর্ণময়। টুকটুকে লাল, কমলা, হলুদ ফুল এবং উজ্জ্বল সবুজ পাতা দিয়ে নতুন রূপে প্রকৃতির অপরুপ রূপে সেজেছে ধামরাই । যা দূর থেকেও পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

ধামরাই উপজেলার প্রায় প্রতিটি সড়কে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটেছে। অনেক বাড়িতে ও কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটেছে। গ্রীষ্মের এ আগুনঝরা দিনে যেন লাল বেনারসি পরা নববধূর সাজে কারো অপেক্ষায় আছে কৃষ্ণচূড়া।

জানা গেছে, কৃষ্ণচূড়ার কাঠ খুব একটা দামি না হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এ গাছের চারা রোপণে আগ্রহ কম ছিল। তবে ইদানীং শখের কারণে এর কদর বেড়েছে। এই কৃষ্ণচূড়া ফুল লাল ও হলুদ রঙের হয়ে থাকে। আমরা না জেনে একে কৃষ্ণচূড়া ফুল বলে থাকি। লাল রঙের ফুলকে কৃষ্ণচূড়া ও হলুদ রঙ্গের ফুলকে রাধাচূড়া বলা হয়। তবে হলুদ রঙের রাধাচূড়া এখন তেমন দেখা যায় না বললেই চলে। আমাদের দেশে এপ্রিল মাসে এই ফুল ফোটে। বছরের অন্যান্য সময় এই ফুল সচারচার চোখে না পড়লেও এপ্রিল মে মাসে যখনি গাছে নতুন পাতা বা ফুল ফোটা শুরু করে তখনি যেন পথচারির নজর কাড়ে মনোমুগ্ধকর এই কৃষ্ণচূড়া। পথের মধ্যে লাল ও হলুদ কৃষ্ণচূড়া দেখলেই মনে হয় একটু থেমে নেই। উপজেলার প্রতিটি গ্রামে এখন কৃষ্ণচূড়ার শাখায় শাখায় লাল হলুদ ফুলের সমারহ।

কৃষ্ণচূড়া গাছ খুব একটা বড় হয় না। তবে এর ডালপালা পাইকোর গাছের মতো অনেক জায়গা পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। পরিবেশের সৌন্দর্যবর্ধক বৃক্ষ কৃষ্ণচূড়া গাছ বর্তমানে রাস্তার দুই ধারে এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি হাসপাতাল ও বাড়ির আঙিনায় শোভা পাচ্ছে। কৃষ্ণচূড়া ফুলের পাপড়ি লাল হলুদ রঙের হয় এর ভিতর অংশে হালকা হলুদ রং যুক্ত। অনেক দূর থেকে দেখলে মনে হয় গাছে গাছে যেন আগুন জ্বলছে।

উপজেলার আমতলী বাজারের রাস্তার পাশে কৃষ্ণচূড়ার গাছের ছায়ায় কাঠ মিস্ত্রি হরিপদ বলেন, প্রচন্ড রোদে এ গাছের ছায়ায় কাজ করে ক্লান্ত হন না। ধূলা-বালি ও গ্রীষ্মের খরতাপে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো ।

মোঃ কামরুল হাসান বলেন, প্রচণ্ড গরমে গাছের ছায়ায় বসে লোকজন গল্প করে আরাম পায়। আর এই গাছের ছায়ায় ক্লান্ত পথচারীরা নিজেকে একটু জিড়িয়ে নেয়।

চারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুন বলেন, গ্রীষ্মের এই খরতাপে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো। রক্তিম লালে প্রকৃতিকে ও যেন অনেক অপরূপ দেখায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর