শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৭ অপরাহ্ন

ফরিদগঞ্জে ভূমি অফিসের পিয়ন আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ২১০ বার পঠিত
আপডেট : সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩, ৭:২৩ অপরাহ্ণ

 মামুন হোসাইনঃ
কখনো চাঁদপুর,কখনো ফরিদগঞ্জ আবার কখনো উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বসেই করেন সরকারি চাকরি, জনগণের টাকা হাতিয়ে রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৬ নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পিয়ন আবুল কাশেম। তার বিরুদ্ধে একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ এনে ভূমি অফিসে নিয়মিত জমাচ্ছেন ভিড়। পেশায় সরকারি পিয়ন হলেও জমিজমা সংক্রান্ত কাগজপত্রের জন্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ নিয়ে তিনি এখন গা ঢাকা দিয়েছেন। পিয়ন আবুল কাশেম অধিকাংশ সময় বাড়ি বিভিন্ন ইউনিয়নের ভুমি অফিস ও চাঁদপুর ডিসি অফিস বসেই ছুটি ছাড়া করেন সরকারি ভূমি অফিসের পিয়নের চাকরি। অফিসে না গিয়েও নিজস্ব ক্ষমতাবলে কৌশলে তোলেন বেতন ভাতা। চাকরির সুবাদে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের জনসাধারণের কাছ থেকে কাগজপত্র সংক্রান্ত ব্যাপারে দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে অবৈধভাবে কাজ করার কথা বলে হাতিয়েছেন নগদ টাকা। এর পুর্ব ফরিদগঞ্জ পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ জনসাধারণের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা লেনদেনের কারণে ২০২০ সালে গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়ন ভুমি অফিসে তার বদলী হয়, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি অভিযোগ উঠলেও থেমে থাকেননি তিনি। বর্তমানে পৌর ও গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়ন,চাঁদপুর ডিসি অফিসে চলছে তার রমরমা বানিজ্য কখনো নিজেকে বড় কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় প্রদান করেন। তার ক্ষমতা বলে গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়ন ভুমি অফিসে মাসে ২,৩ দিন এসে হাজিরা খাতায় পুরো মাসের স্বাক্ষর করে উঠিয়ে নিচ্ছেন মাসিক বেতন ভাতা। এমনি অভিযোগ করেন গজারিয়া এলাকার আবুল কালাম,তার কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করে গত ২০ মার্চ ২০২৩ খ্রীঃ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।ভুক্তভোগী আবুল কালাম জানান গত ১৫-১১-২২ তারিখে সকালে পৌর ভুমি অফিসে গেলে আবুল কাশেমের সাথে আমাদের দেখা হলে সে নিজেকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দেয় তখন তাকে আমার নামে নামজারি খারিজ করার জন্য সে ৬ হাজার টাকা দাবি করে, তখন তাকে ৬ হাজার টাকা দিয়ে আসি,এর ১৫ দিন পরে আবুল কাশেম আমাকে ফোন করে বলে আপনার জমির খাজনা বাকি, খাজনা পরিষদ করা ছাড়া নামজারি করা যাবে না তখন সে খাজনা বকেয়া বাবাদ ৫০ হাজার টাকার উপরে দাবি করে তখন আমি তাকে ৭-১২-২২ খ্রীঃ অফিসের সামনে ৫০ হাজার টাকা দেই,কিছুক্ষণ পরে সে আমাকে খাজনা দাখিলার কাগজ এনে দেয়, আমি কাগজ নিয়ে বাসায় চলে আসি, পরে আমার অংশীদারদের দাখিলার কাগজ দিলে বলে এখানেতো ১১ হাজার টাকা লেখা। তখন আবুল কাশেমকে ফোন দিলে বলে বাকি টাকা আমি ফেরত দেবো বলে আজ পযর্ন্ত আমাকে টাকা ফেরত দেয় নাই। সে গা ঢাকা দেওয়ায়, আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি করে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করি।
গত ২৩ মার্চ গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়ন ভুমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ভুমি অফিসের অফিস সহকারি বিমল এর কাছে আরো কয়েজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন কারো কাছ থেকে ৭ হাজার, ১০ হাজার টাকা নিচে জমি খারিজ করে দিবে বলে কিন্তু তাকে অফিসে পাওয়া যায় না। পিয়ন আবুল কাশেম কে অফিসে গিয়ে পাওয়া না গেলে, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন দিলে রিচিব না করে, ফোন নাম্বার বন্ধ করে রাখে। ৬ নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে বিগত দিনে টাকা লেনদেনের বিভিন্ন অভিযোগ থাকার কারণে তাকে অফিসে কাজ করতে দেই না, সে বাহিরে কাজ করে, বাহিরে কোথায় কোন অফিসে কাজ করে এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোন জবাব দেন না, তার চাকরি আপনার ভুমি অফিসে কিন্তু সে ভুমি অফিসে না এসে কিভাবে তার বেতন উত্তোলন করেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন সে অফিসে আসে, কিন্তু ভুক্তভোগী এবং এলাকার মানুষ বলে তাকে ৩ মাসের মধ্যে অফিসের আসে পাশেও দেখা যায় না। এক গোপন সুত্রে জানা যায় আবুল কাশেম মাসে ২,৩ বার গোপনে এসে পুরো মাসের হাজিরা খাতা স্বাক্ষর করে যায়। পৌর ও ইউনিয়ন সহকারি ভুমি কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান গত বছর ডিসেম্বর মাসে এসে আত্মীয় পরিচয় প্রদান করে খাজনা কেটে নেয়, কাশেমের সাথে ভুক্তভোগীর কি কথা হয়েছে সেটা আমরা জানি না,এটা তাদের ২ জনের ব্যাপার। কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে পৌর সহকারি ভুমি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান আমরা অভিযোগের ব্যাপারে জানতে পেরেছি, আমিও চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ভুক্তভোগী বিচার পাক। উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আজিজুন্নাহার বলেন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে পেরেছি, তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Enter

Mamun

Open photo
Seen by Hossain Mamun at Wednesday 20:31
Enter


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর