শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৬ অপরাহ্ন

দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ২০ বার পঠিত
আপডেট : সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩, ৭:১৭ অপরাহ্ণ

 

দেশে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটছে, ঘটানোর চেষ্টা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিরও চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু আমি মনে করি, আমি বিশ্বাস করি, এটা কেউ কিছু করতে পারবে না। হয়তো সাময়িক কিছু একটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু সেটা মোকাবিলা করবে আমাদের জনগণই।

কাতারে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে আজ সোমবার (১৩ মার্চ) গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে গত ৪ থেকে ৮ মার্চ এই সফর করেন প্রধানমন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে যে উন্নয়ন হয়, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। অনেক ধৈর্যের দরকার। অনেক গালমন্দ, অনেক কিছুই তো শুনতে হয়। প্রতিনিয়ত সমালোচনা শুনেই যাচ্ছি। আমরাই সুযোগ করে দিয়েছি। এর আগে তো এতো টেলিভিশন ছিল না, এতো রেডিও ছিল না। আমরাই সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ। দেশ বিদেশ থেকে বসে বসেও আমাদের সমালোচনা করে। আমাদের করে দেওয়া জিনিস দিয়ে আমাদের সমালোচনা করে। আবার শুনতে হয়- কিছুই করি নাই।

তিনি বলেন, যে যেটাই বলুক, আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে কিনা, দেশের মানুষের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ কর্তব্যবোধ আছে কিনা এটা দেখতে হবে। পরিকল্পিত উন্নয়ন করতে পেরেছি কিনা সেটা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে আমি এইটুকু দাবি করতে পারি, সেটা আমরা করতে পেরেছি। জনগণ আমাদের মূল শক্তি, তারা পাশে ছিল বলেই এটি করতে পেরেছি।

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সামনে নির্বাচন। অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি, ৭৫ সালের পর থেকে যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে আর আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে যে নির্বাচন হয়েছে, অন্তত সেই ধরনের চুরি, ভোটকেন্দ্র দখল করা, কারচুপি করার সুযোগ তো এখন নেই। এখন ছবিসহ ভোটার তালিকা, আইডি কার্ড হয়ে গেছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স আছে, সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে ফেলার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, ইভিএম করতে চেয়েছিলাম কারণ সবাই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট দেবে, সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল পাবে। এখন ঠিক আছে, নির্বাচন কমিশনের ওপর, তারা যতটুকু পারে করবে। পুরোটা করতে পারলে ভালো হতো, অন্তত মানুষ তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারতো। একটা আধুনিক পদ্ধতি মানুষ ব্যবহার করতে পারতো। সেটা নিয়ে এতো আলোচনা-সমালোচনা, আমরা এই বিষয় নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, স্থিতিশীলতার জন্য দরকার, নির্বাচন যেন অবাধ হয়। আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন করে দিয়েছে। সেই আইনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের স্বতন্ত্রতা আমরা দিয়ে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ অবাধ নিরপেক্ষ করে গড়ে দিয়েছি যাতে জনগণের ভোটের অধিকার জনগণ প্রয়োগ করবে। জনগণ যাকে খুশি ভোট দেবে- এটা আমাদেরই স্লোগান। ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো’-আমরা যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেছি তার লক্ষ্য ছিল জনগণের ভাতের অধিকার, নিরাপত্তা, জীবন মান উন্নত করা। সেই ভোট-ভাতের আন্দোলন কিন্তু আমাদেরই করা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আন্দোলন , রাষ্ট্র পরিচালনায় যে যে কথা আমরা দিয়েছি , আমরা তা রেখেছি। মাঝখানে করোনা ভাইরাস আর ইউক্রেন যুদ্ধ যদি না হতো আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ ভাগের ওপরে ছিল, আমরা এগিয়ে যেতে পারতাম। আমাদের দারিদ্রের হাড় ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছিলাম। আজ করোনা আর যুদ্ধকালীন সময় না থাকতো আরও দুই থেকে তিন শতাংশ দারিদ্র কমিয়ে আনতে পারতাম। নানা কারণে হয়তো হয়নি। তবে এখানে থেমে থাকলে হবে না, হতাশাগ্রস্ত হলে হবে না। আমি কখনও হতাশায় ভুগি না, একটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলি, আমার তো হারানোর কিছু নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর