সরকার ঘোষিত ২০২৩ সালের হজ প্যাকেজের খরচ পুন:নির্ধারণের লক্ষে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জবাব দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি হাইকোর্টে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পাশাপাশি জনসচেতনা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলনসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন নোটিশ প্রেরণকারী আল-কোরআন স্টাডি সেন্টার’র চীফ কো-অর্ডিনেটর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ উজ্জামান।
আইনজীবী আশরাফ উজ্জামান বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারী হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় ২০২৩ সালের হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেন।
এবার ঘোষিত হজ প্যাকেজ অনুযায়ী, হজযাত্রায় প্রত্যেক হজযাত্রীর ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা খরচ হবে। যা গত বছরের তুলনায় এবারের খরচ ১ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা বেড়েছে। গত বছর সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ পাঁচ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
গত ২ ফেব্রুয়ারি বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর বাইরে প্রত্যেক হাজিকে কোরবানি বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের কথা বলা হয়। গত বছর বেসরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হয়েছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। এবার তা প্রায় দেড় লাখ টাকা বাড়ানো হয়।
প্রসঙ্গত সরকারিভাবে গত জানুয়ারি মাসে এ বছর দেশের সম্ভাব্য হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বলে জানানো হয়।