শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

রওশনকে সরিয়ে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হচ্ছেন জিএম কাদের

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ১৩৯ বার পঠিত
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:৩২ অপরাহ্ণ

রওশন এরশাদকে সরিয়ে দলীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পার্টি। বিরোধীদলীয় নেতার পদে জিএম কাদেরকে মনোনয়ন দিতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠিও দিয়েছে জাপার সংসদীয় দল। রওশন এরশাদ দলের সম্মেলন ডাকার একদিনের মধ্যে দলটির সংসদীয় দল বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেয়।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা অনেক দিন ধরে অসুস্থ। তিনি স্বাস্থ্যগত কারণে সংসদেও ঠিকমতো আসতে পারছেন না। এ জন্য সংসদীয় দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়েছে উল্লেখ করে মুজিবুল হক বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সিদ্ধান্তের কথা মাননীয় স্পিকারকে জানিয়েছি। ওই বৈঠকে ২৬ জন এমপির মধ্যে ২৩ জন উপস্থিত ছিলেন এবং একজন টেলিফোনে তাঁর সম্মতির কথা জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সংসদ অধিবেশনে মাগরিবের নামাজের বিরতির সময় চুন্নু, বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, সালমা ইসলাম, ফখরুল ইমামসহ ৬ / ৭ জন সংসদ সদস্য দলের সংসদীয় দলের সিদ্ধান্তের কথা স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জানান।

এ ব্যাপারে অনুমোদন দেওয়ার এখতিয়ার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর। তবে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য কোনো সিদ্ধান্ত নিলে স্পিকার সাধারণত সেটি অনুমোদন করেন। সংরক্ষিত আসনসহ সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য সংখ্যা ২৬ জন।

রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নানা বৈঠকে রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন।এরশাদের গড়া দল জাতীয় পার্টি ভেঙেছে বেশ কয়েকবার। দলটির সাবেক মহাসচিবদের নেতৃত্বে আলাদা কয়েকটি দল এখনো সক্রিয় রয়েছে।

তিন বছর আগে এরশাদের মৃত্যুর পর দলে কর্তৃত্ব নিয়ে দেবর-ভাবির বিরোধে দলটি আবার ভাঙনের মুখে পড়েছিল। সেই সময় জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে সমঝোতা হয়। তারই অংশ হিসেবে রওশনকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পাশাপাশি দলে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদ দেওয়া হয়। আর জিএম কাদের দলের চেয়ারম্যানের পদ রাখার পাশাপাশি সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা হন।

অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাংককে চিকিৎসাধীন রওশন এরশাদ। গত জুন মাসে কয়েক দিনের জন্য দেশেও আসেন। সেই সময় দলের কর্তৃত্ব নিতে নানান কর্মকাণ্ড করেছিলেন। তবে সেটা কার্যত ব্যর্থ হয়। ওই সময় রাজধানীর একটি হোটেলে মতবিনিময় সভা করে তিনি অভিযোগ করেন, অসুস্থতার সময়ে দলীয় নেতাদের কেউ তাঁর খোঁজখবর নেয়নি। আর এরশাদের মৃত্যুর পর দলটিও এলোমেলো হয়ে পড়েছে।

জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি আবার বিদেশে ফেরত যান। এরপর গতকাল বুধবার রাতে তাঁর নামে আসা চিঠিতে আগামী নভেম্বরে দলের কাউন্সিল ডাকা হয়।এরপর জিএম কাদেরের পক্ষে তাঁর প্রেসসচিব বিবৃতি দিয়ে বলেন, জাতীয় পার্টিতে চেয়ারম্যান ছাড়া আর কারও কাউন্সিলর ডাকার এখতিয়ার নেই। রওশনের ওই পদক্ষেপ অবৈধ।

রওশন কাউন্সিলের প্রস্তুতির জন্য নিজেই আহ্বায়ক হয়ে কমিটি গঠনের কথা জানান চিঠিতে। দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ ছয়জন কো-চেয়ারম্যানকে করেন যুগ্ম-আহ্বায়ক। তবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সচিবের বিবৃতিতে দাবি করা হয়, মহাসচিব চুন্নুসহ কো-চেয়ারম্যানেরা ওই কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির বিষয়ে কিছু জানেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর