স্টাফ রিপোর্টারঃ
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন চরপাড়া মোহাম্মদিয়া তৈয়্যেবিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারি সুপার পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল দৈনিক ইনকিলাব ও দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠ পত্রিকায় সুপার ও সহকারি সুপার এই ২ টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। সুপার পদে আবেদন পড়ে ৭ টি, সহকারি সুপার পদে আবেদন পড়ে ১৩ টি। যাচাই বাছাইতে সহকারি পদে একটি আবেদন বাদ পড়ে ।
গত ২৯ জুলাই লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষায় সুপার পদে ৪ জন ও সহকারি সুপার পদে ৯ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। বাকীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেনি।সহকারি সুপারে অংশ গ্রহনকারী মোঃ সুলতান আহম্মেদ চাঁদপুর জেলা প্রকাশক কার্যালয়ে নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে ৩ আগস্ট লিখিত অভিযোগ করেন।মোঃ সুলতান আহম্মেদ জানান আমি সহকারি সুপার পদে লিখিত এবং ভাইবা পরীক্ষায় প্রথম হওয়া শর্তেও আমাকে নিয়োগ না দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি তার পছন্দের ব্যক্তি মোঃ সানাউল্লাহকে নিয়োগ প্রদান করিতেছেন।
নিয়োগ কমিটির ডিজি প্রতিনিধি ড.মোঃ আবুল কালাম আজাদ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম কে হয়েছে আমার মনে নেই য, আমি আপনাকে ৫ মিনিট পরে ফোন দিয়ে জানাচ্ছি। পরিবর্তীতে তিনি ফোন দিয়ে জানান মোঃ সানাউল্লাহ প্রথম হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ আছিফ উদ্দিন জানান নিয়োগের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে রাজি না।আপনারা সভাপতির সাথে কথা বলেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ আলী রেজা আশরাফী জানান মোঃ সানাউল্লাহ প্রথম হয়েছে।তাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
নিয়োগ পরীক্ষায় ভাইবাতে উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, আমি ভাইবা তে ছিলাম। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার আগে আমি বের হয়ে গেছি । তবে এতটুকু বলতে পারি মোঃ সুলতান আহম্মেদ ও মোঃ সানাউল্লাহ ভাইবায় কাছাকাছি ছিল।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আলহাজ্ব আঃ মালেক বুলবুলকে গত দু-দিন বিভিন্ন নাম্বার থেকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।