শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৪ অপরাহ্ন

জননিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি সন্ত্রাসবাদ: আইনমন্ত্রী

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ১০০ বার পঠিত
আপডেট : শনিবার, ২৮ মে, ২০২২, ৮:১৪ অপরাহ্ণ

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আজকের বিশ্বে গণতন্ত্র, শান্তি এবং জননিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিগুলোর মধ্যে সন্ত্রাসবাদ একটি। বৈশ্বিক হুমকি হওয়ায় বিশ্বের প্রতিটি দেশকে এ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

আজ শনিবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে মামলা ব্যবস্থাপনা এবং প্রসিকিউটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্রোগ্রামের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের ওপিডিএটি-এর সহযোগিতায় ঢাকায় আয়োজিত ছয়মাস মেয়াদি এই প্রোগ্রামে বাংলাদেশের সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও প্রসিকিউটরগণ অংশ নেন।

বক্তব্যর শুরুতে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি বন্দুকধারীর গুলিতে নিরপরাধ ১৯ শিক্ষার্থীসহ ২১ জন নিহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন এবং নিহতদের স্মরণে কিছু সময় দাঁড়িয়ে নিরবতা পালনের আহ্বান জানালে সকলে দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সন্ত্রাস দমনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য দেশে ও বিদেশে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ও প্রশংসিত হয়েছে।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সন্ত্রাসবাদের প্রস্তুতি, সহায়তা এবং উস্কানিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ২০০৯ সালে সন্ত্রাস বিরোধী আইন প্রণয়ন করেছে। এ ছাড়া  ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সংঘটিত অপরাধ দমনের জন্য ২০১৮ সালে  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে। উভয় আইন অনুসারে, সন্ত্রাস ও সাইবার অপরাধের সুষ্ঠু ও কার্যকর  বিচারের জন্য সারা দেশে সাতটি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এবং আটটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

আনিসুল হক বলেন, “করোনার মহামারির সময়েও জনগণের ন্যায়বিচারের অধিকার রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায়, ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ’ জারি করে ভার্চুয়াল আদালত চালু করা হয়েছিল। করোনার  মহামারি পরিস্থিতি সত্ত্বেও, সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালগুলো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আবেদন নিষ্পত্তি করেছে যা জরুরি সমস্যা মোকাবিলায় এবং কারাগারে বন্দীদের ভিড় কমাতে অনেক অবদান রেখেছে।”

বাংলাদেশে নিযুক্ত  মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস,  আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, মার্কিন জেলা আদালতের বিচারক ডেভিড কার্টার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন। ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের আবাসিক আইন উপদেষ্টা মিশেল প্রিন্স অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর