শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩২ অপরাহ্ন

সবার সহযোগিতায় বাঁচতে পারে জবি শিক্ষার্থী ওয়ালিদ

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ১৪৪ বার পঠিত
আপডেট : শনিবার, ২১ মে, ২০২২, ৭:৪৭ অপরাহ্ণ

জবি প্রতিনিধি:

সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ ইসলাম।

বর্তমানে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন আছেন এই মেধাবী শিক্ষার্থী।

বিভাগসূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ব্যাচের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১২তম ব্যাচে ভর্তি হন ওয়ালিদ। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলায়।

গত ৩ মে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হন ওয়ালিদ ইসলাম। দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ওয়ালিদকে।

তবে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিক মাথায় অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। পরবর্তীতে ওয়ালিদকে আইসিউতে রাখা হয়। তবে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ওয়ালিদকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় গত ১২ মে। সেখানেই ওয়ালিদের চিকিৎসা চলমান রয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওয়ালিদের পুরো চিকিৎসাটি খুবই সময়সাপেক্ষ এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল। পাশাপাশি তাকে দীর্ঘ সময় আইসিইউতে রাখতে হবে।

এদিকে ওয়ালিদের এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর পরই শোকের ছায়া নেমে আসে তার স্বজন ও সহপাঠীদের মধ্যে। ওয়ালিদের জন্য দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন তার স্বজন ও সহপাঠীরা।

সহপাঠীরা বলেন, ওয়ালিদ সবসময় হাস্যোজ্জ্বল ছিল। আন্তরিকতা ও হাস্যোজ্জ্বলতা দিয়ে সে সবার মন জয় করেছে। পাশাপাশি ছবি তোলায় সে ছিল ভীষণ পটু। কিন্তু সদা হাস্যোজ্জ্বল ওয়ালিদ আজ আইসিউতে জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। হাসছে না, কথাও বলছে না যা আমাদের জন্য খুব কষ্টের। আমরা চাই ওয়ালিদকে আবারও আমাদের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে।

ওয়ালিদের সহপাঠী কারিনা দত্ত আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ওয়ালিদ অসম্ভব রকম প্যাশনেট এবং চমৎকার একজন মানুষ। আমার চেনাজানা এমন কেউ নেই যে তাকে অপছন্দ করে। ওয়ালিদের পুরো আঘাতটাই যেহেতু ব্রেইনের ওপর ছিল তাই ডাক্তার বলেছেন ওর সুস্থ হওয়ার জন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। ইতিমধ্যে ওয়ালিদের চিকিৎসায় তার পরিবারের প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে বলে জানতে পারি। তাই আমরা সবাই আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে তার পরিবারের পাশে আর্থিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের মতো সবাই যেন তা পাশে দাঁড়ায়। সবাইকে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।

এদিকে ওয়ালিদের চিকিৎসার জন্য প্রতিনিয়ত আর্থিক সাহায্য সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সবাই।

ওয়ালিদের জন্য আর্থিক সাহায্য পাঠানোর মাধ্যম:

মো. কাউসার ইবনে রিমেল (ওয়ালিদের বড় ভাই)

ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, গুলশান কর্পোরেট শাখা।

A/C:2050 177 02 03866815

ফোন: 01711060752 (যাবতীয় তথ্যের জন্য)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর