এ,এস লিটন
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নিজের বসত বিল্ডিং থেকে ফরিদ উদ্দিন ভুইয়া (২৪) নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৫ এপ্রিল শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার রুপসা দক্ষিন ইউনিয়নের পশ্চিম কাওনিয়া গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ফরিদ ওই গ্রামের ভূইঁয়া বাড়ীর মৃত হুমায়ুন ভূঁইয়ার ছেলে ও দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট। সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদিপ্ত রায়, (হাজিগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ) সার্কেল মো. সোহেল মাহমুদ ও ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক মাস পুর্বে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয় সে। এরপর কিছুটা সুস্থ্ হয়ে নিজের একতলা বিশিষ্ট বিল্ডিং-এ বসবাস করতো। ১৫ এপ্রিল শুক্রবার দিন ব্যাপী তাকে দেখতে না পেয়ে খোজাঁ খুজি একপর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দা সালাউদ্দিন, ফরিদ উদ্দিনের বিল্ডিং-এর জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। এরপর ডাকচিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহতের ঘাড়ে, গলায় ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলো সে। বোনদের বিয়ে হয়েছে। একমাত্র ভাই কাউছার দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী। ফলে নিজের একতলা বিশিষ্ট বিল্ডিং-এ একাই বসবাস করতো সে।
এবিষয় ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। এবিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে, সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদিপ্ত রায়, ও (হাজিগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ) সার্কেল মো. সোহেল মাহমুদ পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদিপ্ত রায় জানান, ঘটনাটি মনে হচ্ছে কোন শত্রুতার জের পুর্বপরিকল্পিত ও নৃশংস এ হত্যাকান্ড। আশা করি খুব দ্রুতই এই হত্যা কান্ডের মূল রহস্য উন্মোচিত হবে।