মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৬ অপরাহ্ন

সালামের গুরুত্ব ও ফজিলত

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ১৬৭ বার পঠিত
আপডেট : শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২২, ১১:০০ পূর্বাহ্ণ

সালাম আরবি শব্দ। এর অর্থ শান্তি, প্রশান্তি, কল্যাণ, দোয়া, আরাম, আনন্দ ইত্যাদি। সালাম একটি সম্মানজনক অভ্যর্থনামূলক ইসলামি অভিবাদন।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম আদম (আ.)-কে সালামের শিক্ষা দেন। হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করার পর আল্লাহ তায়ালা তাকে ফেরেশতাদের সালাম দেয়ার নির্দেশ দেন।

তিনি সালাম দিলেন-

السلام عليكم

উচ্চারণ: আসসালামু আলাইকুম

অর্থ: আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।

ফেরেশতারাও সালামের উত্তরে বললেন-

وعليكم السلام

উচ্চারণ: ওয়া আলাইকুমুস সালাম।

অর্থ: আপনার ওপরও শান্তি বর্ষিত হোক।

হজরত আলী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন যে, এক মুসলমানের অন্য মুসলমানের ওপর ছয়টি হক রয়েছে- তার মধ্যে সর্বপ্রথম হক হলো যখন কোনো মুসলমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, তখন তাকে সালাম দেয়া। সালামের মাধ্যমে পরস্পরের জন্য শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। কোনো মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে কথা বলার আগে সালাম দেয়া, নবী করিম (সা.) এর আদর্শ। আর এর উত্তর দেয়া অবশ্যকরণীয়।

হাদিসে রয়েছে, একজন মুসলমানের সঙ্গে অপর মুসলমানের দেখা হলে কথা বার্তার আগে সালাম দিতে হবে।

চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সালামের ফজিলত সম্পর্কে:

প্রথমত সালাম দেয়া সুন্নত ও সালামের উত্তরে ওয়ালাইকুমুস সালাম বলা ওয়াজিব। হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার এক ব্যক্তি রাসূল (সা.) এর নিকটে এসে বললেন-

السلام عليكم

আসসালামু আলাইকুম। তখন তিনি সালামের জওয়াব দিয়ে বললেন, লোকটির জন্য ১০ নেকি লেখা হয়েছে।

এরপর আরেক ব্যক্তি এসে বললেন-

السلام عليكم ورحمة الله

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। রাসূল (সা.) সালামের জওয়াব দিয়ে বললেন, তার জন্য ২০ নেকি লেখা হয়েছে।

এরপর আরেক ব্যক্তি এসে বললেন-

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকা-তুহ। রাসূল (সা.) তারও জওয়াব দিয়ে বললেন, তার জন্য ৩০ নেকি লেখা হয়েছে। (আবু দাউদ)।

সালামের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূল (সা.) বলেন, যখন দুইজন মুসলমানের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়, সালাম-মুসাফাহা (হ্যান্ডশেক) করে তখন একে অপর থেকে পৃথক হওয়ার আগেই তাদের সব গুণাহ মাফ করে দেয়া হয়। এছাড়া সালামের দ্বারা পরস্পরের হিংসা-বিদ্বেষ দূর হয়। অহঙ্কার থেকেও বেঁচে থাকা যায়। সর্বত্র সালামের মাধ্যমে সৃষ্টি হবে একে অপরের মধ্যে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য। আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমলের তাওফিক দান করুন। আমিন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর