নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় এমভি রূপসী-৯ কার্গো জাহাজের মাস্টারসহ আটজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২১ মার্চ) বিকেলে শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালত এই আদেশ দেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হলেও আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে বিকেলে ওই জাহাজের মাস্টারসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক (ট্রাফিক ও নৌ নিরাপত্তা) বাবু লাল বৈদ্য। বেপরোয়া জাহাজ চালিয়ে হত্যার অভিযোগে বন্দর থানায় মামলাটি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন, কার্গো জাহাজের মাস্টার রমজান আলী শেখ, নুরুল আলম; কর্তব্যরত প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, নাদিম হোসেন; লস্কর সুমন হোসেন, ইয়াসিন; সুকানি জাহিদুল ইসলাম ও গ্রিজার রিয়াদ হোসেন।
মামলার বাদী অভিযোগ করেন, গতকাল রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এল এম আফসার উদ্দিন নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে ডুবিয়ে দেয় এমভি রূপসী-৯ নামের কার্গো জাহাজ। বেপরোয়া গতিতে কার্গো জাহাজ চালিয়ে লঞ্চ ডুবিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জাহাজের মাস্টার, সুকানিসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ এর ধাক্কায় নারায়ণগঞ্জ টু মুন্সীগঞ্জগামী ‘আফসার উদ্দিন’ নামে লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৮ জনের মধ্যে একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। অপর দুইজন নারী, একজন পুরুষ ও দুই শিশু। সেই সঙ্গে ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে বন্দর থানা ও নৌ আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।