শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১২ অপরাহ্ন

জনবল সংকটে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিস

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ৩৮৪ বার পঠিত
আপডেট : সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:২৫ অপরাহ্ণ

 

মোঃ শাখাওয়াত হোসেন মিন্টু:

ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসে জাতীয় পতাকা উড়লেও অফিস থাকে তালাবদ্ধ। একজন সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা দিয়ে চলছে জেলার মধ্যে আয়তনে ও জনসংখ্যায় সর্ববৃহৎ উপজেলা ফরিদগঞ্জ। বিভিন্ন কারণেই এখানে কাজও বেশী তাই একজন জনবল দিয়ে দপ্তরটি চালাতে গিয়ে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। সাধারণ লোক কাজে গিয়ে ফেরত আসতে হয় তালাবদ্ধ থাকার কারণে। গত ৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অফিস খোলার সঠিক সময়ে জাতীয় পতাকা উড়লে অফিস থাকে তালাবদ্ধ। জানা গেছে, সারা দেশে মাছ উৎপাদনে ফরিদগঞ্জ উপজেলার অবস্থান সেরা পাঁচ-এর মধ্যে। রুই, কাতলা, মৃগেল,কার্প,তেলাপিয়া, পাবদা, কৈ, শিং মাগুর, পাঙ্গাস উৎপাদন হয় । কতটি সরকারি হিসেবে ৪৫টি সরকারি পুকুর, বেসরকারি ১০,৪৭০টি পুকুর, খাল ১৩টি, দিঘী ১০টি, ঝিল ২৯টি রয়েছে। যাতে ৭ হাজার মেট্রিকটন মাছ উৎপাদন হয়।

অফিস সূত্র জানা যায়, এ দপ্তরে অনুমোদিত পদ সংখ্যা হলো ৫টি। বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ১ জন। অবশিষ্ট ৪ টি পদ শূন্য রয়েছে। শূণ্য পদগুলো হলো: উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ০১ ,ক্ষেত্র সহকারি ০১, অফিস সহকারি ০১, অফিস সহায়ক ০১, তাছাড়া দপ্তর আঙ্গিনায় মৎস্য খামার থাকায় একজন পাহারাদারের প্রয়োজনও রয়েছে। দীর্ঘদিন এ পদগুলোতে লোকবল না থাকায় স্বাভাবিক কার্যক্রমে অসুবিধা হচ্ছে। দপ্তরটি তালা খোলা থেকে পতাকা উত্তোলণসহ সকল কাজ একজনকে সামাল দিতে হয়। ফলে সময় মতো কাজগুলো করতে মুসকিলে পড়তে হয়। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফারহানা আকতার রুমা জনবল সংকটের সত্যতা স্বীকার করে জানান, অফিসে আমি মানুষ একজন। কোন না কোন ভাবে কাজ গুলো ম্যানেজ করে নিচ্ছি। তাছাড়া উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জনবল সংকটের বিষয় অবহিত করা হয়েছে।

মৎস ব্যবসায় সফলতা অর্জনকারী সালেহ আহমেদ,জসিম মেম্বার কাদের মিজি বলেন মৎস্য অফিসে লোকবল না থাকলেও মৎস্য অফিসার ও প্রকল্পের কর্মকর্তারা আমাদের খোঁজ খবর রাখেন এবং সর্বাত্মক সহযোগীতা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর