ডিজিটাল ও প্রযুক্তি ব্যবহারে করোনাকালী সময়ে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয়নি বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন,করোনা মহামারিতে পুরো দেশ যখন স্থবির হয়ে পড়েছিল। ঠিক তখন ডিজিটাল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যহত ছিল। সর্বক্ষেত্রেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্ব স্ব ক্ষেত্রে দেশের কার্যক্ষম স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর সার্কিট হাউজ মিলায়তনে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বতর্মান সরকারের মাত্র ১৩ বছরের মধ্যে একটা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে একটি প্রযুক্তিনির্ভর, অর্থনৈতিক ও ডিজিটাল বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষকে আধুনিক জীবন যাত্রা উপহার দিয়েছেন শেখ হাসিনা সরকার। এই করোনাকালীন সময়ে জীবন ও জীবিকা দুটোকেই সুরক্ষায় রেখে যিনি বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে বেগবান রেখেছেন তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য দৌহিত্র ও তারুণ্যের গর্ব সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়কে । মাত্র ১৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ২০ লক্ষ তরুণ-তরুণীকে প্রযুক্তিনির্ভর করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। বাংলাদেশের দুই হাজারেরও বেশি সরকারি সেবাকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এনেছেন এবং প্রযুক্তির শিল্পকে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম একটি চালিকাশক্তি তে পরিণত করেন। বিশেষ করে করোনাকালীন এ দুটো বছর আমাদের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে পেরেছেন, তা সম্ভব হয়েছে অনলাইন ইন্টারনেট ব্যবস্থায়। ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যও চলমান রাখতে পেরেছি। চাঁদপুরের ব্যবসায়ী,কৃষক এবং ছোট ছোট ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তারাও তাদের পণ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমনকি দেশের বাইরে ইকমার্সের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করতে পেরেছে। করোনাকালীন সময় প্রশাসনিক কার্যক্রম যখন স্থবির হয়ে পড়েছিল তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জীবন রক্ষা করার জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিলেন। তখন অফিস-আদালত সবকিছু বন্ধ ছিল। কিন্তু প্রশাসনিক কাজ কিন্তু বন্ধ ছিল না। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছিরর উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিনী আরিফা জেসমিন, যুগ্ম – সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন সরকার, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন মিন্টু, সদস্য অ্যাডভোকেট বদিউদজামান কিরোনসহ জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ,আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।