স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মহান বিজয় দিবস-২০২১ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজধানীকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এসব অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন পুলিশ, এপিবিএন, এসএসএফ, পিজিআরসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। প্রতিটি ভেন্যুতে এসবি, এসএসএফ, র্যাব ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়াও বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোয়াট ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার বিজয় দিবসে যেসব বিদেশি রাষ্ট্রীয় অতিথি আসবেন তাদের অবস্থানের জায়গাসহ যেসব স্থানে তারা যাবেন সেখানে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া তারা যেসব সড়ক ব্যবহার করবেন সবখানেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
পুলিশ বলছে, রাষ্ট্রের এত গুরুত্বপূর্ণ ডিউটি সবসময় আসে না। শতভাগের উপরেও যদি কিছু করার থাকে তা বাস্তবায়ন করা হবে। সন্দেহ হলে প্রতিটি ব্যক্তি ও যানবাহনে যথাযথভাবে তল্লাশি করা হবে। নিরাপত্তার প্রশ্নে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা পালন করা পুলিশের জন্য অহংকার, মর্যাদা ও সম্মানের বিষয়। পুলিশের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করবো।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে গত এক সপ্তাহ ধরে সব ভেন্যুর আশপাশ, আবাসিক হোটেল, বহুতল ভবন, মেস, বাসাবাড়িতে ব্লক রেইড করা হয়েছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। আমাদের প্রচুর সংখ্যক পুলিশ সদস্য কাজ করবেন। পাশাপাশি সাদা পোশাকে ডিবির গোয়েন্দারা কাজ করবেন। এর সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তায় ডিবির সাইবার ক্রাইম ইউনিট ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। অনুষ্ঠান সফল করতে আমরা সদা প্রস্তুত।
এছাড়াও র্যাবের টহল জোরদার করার পাশাপাশি দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডগ স্কোয়াড ও র্যাবের বোম্ব স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সারাদেশে ভিভিআইপি, ভিআইপি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের গমনাগমনের স্থানসহ জনসমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন স্থানে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড টিম ও ক্রাইম সিন ভ্যানকে কৌশলগত স্থানে সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। সম্ভাব্য যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের স্পেশাল ফোর্স ও এয়ার উইংয়ের হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে।