দীর্ঘক্ষণ পারাপার বন্ধ থাকায় পাটুরিয়াঘাট এলাকায় ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকে অর্ধশতাধিক যাত্রীবাহী বাস, দেড় শতাধিক বিভিন্ন গাড়ি এবং পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীসাধারণ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশন (বিআডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের অববাহিকায় কুয়াশা দেখা যায়। একপর্যায়ে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে গেলে বুধবার সকাল ৬টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পথ হারিয়ে উভয়ঘাট থেকে ছেড়ে আসা খানজাহান আলী ও হাসনাহেনা নামের দুটি ফেরি যাত্রী এবং যানবাহন নিয়ে মাঝপদ্মায় নোঙর করতে বাধ্য হয়।
এদিকে পাটুরিয়া প্রান্তে আটটি ও দৌলতদিয়া প্রান্তে ছয়টি ফেরি অবস্থান করে।
পারাপার বন্ধ থাকায় ঘাটে আসা যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত বিভিন্ন গাড়ি ও পণ্যবাহী গাড়ি পাটুরিয়াঘাট এলাকায় আটকা পড়ে। এসব যাত্রীবাহী বাস পাটুরিয়া-উথলীসংযোগ সড়কে নদী পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ব্যক্তিগতসহ বিভিন্ন গাড়ি পাটুরিয়ার পাঁচ নম্বর ঘাট থেকে আরসিএল মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ সারিতে আটকা পড়েছে। এ ছাড়া পণ্যবাহী গাড়িগুলো পাটুরিয়ায় টার্মিনাল, পাটুরিয়া-উথলী সড়ক ও উথলী মোড় এলাকায় সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে।
কুয়াশায় পারাপার বন্ধ থাকায় শীতের মধ্যে তারা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ঘাট এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক যুবায়েদ হোসেন বলেন, ফেরি বন্ধ থাকায় যানবাহনের চাপ বাড়ছে। সকাল সাড়ে ৮টার পর কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তিনি আরও জানান, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অর্ধশতাধিক বাস, দেড় শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি পাটুরিয়া প্রান্তে আটকা পড়ে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল বলেন, ঘনকুয়াশার কারণে ভোর ৬টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে।
তিনি জানান, যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো আগে পারাপার হওয়ার সুযোগ পাবে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমে আসবে।