মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, এ দেশের যুব সমাজই আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে। সে কারণে সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, অনৈকতা থেকে যুব সমাজকে ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের যে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা এই অগ্রযাত্রায় যুব সমাজ যাতে ভূমিকা রাখতে পারে সে জন্য বহুমুখী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আমাদের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অভাবনীয় বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যুবকদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আজ সোমবার জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে “দক্ষ যুব সমৃদ্ধ দেশ-বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এই স্লোগান সামনে রেখে পিরোজপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে ভার্চুয়ালী সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন দেশের যুব সমাজকে সামনের কাতারে এনে দক্ষ জনবলে পরিণত করে তাদেরকে যথাযথ পুনর্বাসনের জায়গায় আনা সম্ভব হলে জাতির অগ্রযাত্রাকে আরও শানিত করা সম্ভব হবে। প্রতিটি জেলায় যুকদেরকে কর্মক্ষম করার লক্ষে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যবস্থা কিভাবে আয়ত্ত করতে পারে। তারা যাতে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ব্যপকভাবে নিজেদের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে পারেন, সাবলম্বি হতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৎস্য চাষ পশু সম্পদের বিভিন্ন চাষাবাদসহ ক্ষুদ্র শিল্প অন্যান্য ছোট ছোট ব্যবসার জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যুব অধিদপ্তর সহযোগীতা করছে। এই সহযোগীতাটা একজন যুবককে স্থায়ীভাবে জনবল নয় জনশক্তিতে পরিণত করছে। এই জনশক্তি কিন্তু আমাদের বেকারত্বের যে কষাঘাত তার থেকে আমাদেরকে বের করে নিয়ে আসবে। এই জনশক্তি কিন্তু উদ্যোক্তা হচ্ছে। তাদের আয়ের মধ্য থেকে নিজেরা যেমন সাবলম্বী হচ্ছেন গ্রামীণ অর্থনৈতিকে তারা স্বচ্ছল করছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের প্রতিটি যুবক আগামী দিনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তত থাকতে হবে। মাদক অনিয়ম দুর্নীতি এর থেকে যুব সমাজকে কি ভাবে মূলস্রোতে রাখা যায় সে জন্য আমাদের সকলকে মিলে কাজ করতে হবে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যে যত নেতৃত্ব হয়েছে, যত প্রয়োজনীয় কাঠামোগত ভূমিকা রাখতে হয়েছে, তা সে দেশের যুব সমাজই রেখেছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই। আমাদের এগারো দফা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এগারো দফা আন্দোলনে যে গণ অভ্যুত্থানকে সূচিত করেছিলো। সেই এগারো দফা আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন যারা তারা কিন্তু যুবক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যখন তার রাজনৈতিক সূচনা করেছিলেন এবং রাজনীতিকে ব্যাপক আকারে তিনি ধারন করেছিলেন, তখন তিনি যুবক ছিলেন।
জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে যুব দিবসের কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. হাসানাত ইউসুফ জাকী, যুব উন্নয়নের উপ-পরিচালক অশোক কুমার সাহা ও মুক্তিযোদ্ধা গোতম রায় চৌধুরী।
পরে অতিথিবৃন্দ ১০ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যুবক ও যুব মহিলাকে সনদপত্র ও ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক বিতরণসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং মৎস্য পোনা অবমুক্ত করা হয়।