শাহরাস্তি (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
শাহরাস্তিতে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সহযোগী হিসেবে সাহসিকতায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন উপজেলা আনসার কোম্পানী কমান্ডার আ: ছাওার মজুমদার। গত ১৭ ই অক্টোবর শনিবার আনসার কমান্ডার আ: ছাওার মোটরসাইকেল যোগে রাএীকালীন পাহারা থেকে রাতের খাওয়ার জন্য বাড়ীর উদ্দেশ্য রওনা হলে, রাত আড়াইটায় একজন অটোরিক্সা চালককে এলোমেলো গাড়ি চালানো ও দ্বিকবিদিক ছুটাছুটি করতে দেখে, অটোরিক্সার পেছনে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নোয়াঁগাও গ্রামের নাম লিখা ছিল, বিষয়টি তার সন্দেহ হয়। এ সময় তিনি সেই অটোরিক্সা চালকের পিছু নেন ও পাশ^বর্তী সাহেব বাজার নৈশ প্রহরী বিল্লাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে অটোরিক্সার পেছনে ছুটতে থাকেন। আনসার কমান্ডার আ: ছাওার অটোরিক্সার পিছু নিলে, অটোরিক্সার গতি আরো বেড়ে যায়, সন্দেহর তীর আরো বাড়তে থাকে। আনসার কমান্ডার আ: ছাওার বিষয়টি শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মান্নান কে বিষয়টি মুঠোফোনে অবগত করেন। অটোরিক্সার পিছু নেওয়া আনসার কমান্ডার আ: ছাওার মোটর সাইকেল দিয়ে অটোরিক্সার গতিরোধ ব্যারিকেড দেওয়ার চেষ্টা করলে, অটোরিক্সা থেকে রড দিয়ে এলাপাতাড়ি পেটানোর চেষ্টা করলে অল্পের জন্য তিনি রক্ষা পান। মনোবল শক্ত করে সাহসিকতা নিয়ে অটোরিক্সার পিছু ছাড়েননি, প্রায় আধঘন্টা পর চোরের দল অটোরিক্সা পেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মহুর্তের মধ্যে শাহরাস্তি থানার উপ-পরিদর্শক ( এস আই) শাহিদুর ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ এস আই) শাহজালাল সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌছে চোরাইকৃত অটোরিক্সা ও মো: ফরহাদ (২৬) পিতা: শাহআলম, সাং বলশিদ ছৈয়ালবাড়ী, নামীয় এক চোরকে ধৃত করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি মামলা হয় যার নং ৮, তাং ১৭/১০/২০২১ ইং। ১৮ই অক্টোবর অটোরিক্সার প্রকৃত মালিক মতলব দক্ষিন উপজেলার মধ্য নওগাঁ গ্রামের শরীফ মিয়াজীকে তার অটোরিক্সা টি বুঝিয়ে দেয় পলিশ। আটককৃত চোর ফরহাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শাহরাস্তির টামটা দক্ষিন ইউনিয়নের সাহেব বাজার মাঈনুদ্দিন ওরফে ভোলার অটোরিক্সা গ্যারেজ থেকে চোরাইকৃত আরেকটি অটোরিক্সা উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত এ অটোরিক্সাটির প্রকৃত মালিক মতলব দক্ষিন উপজেলার মধ্য নওগাঁ গ্রামের মিজানুর রহমানকে বুঝিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় মতলব দক্ষিন থানার এস আই হাবিব, এস আই কবির হোসেন , শাহরাস্তি থানার এস আই শাহিদুর ও এএস আই শাহজালাল সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন। চোরাই কান্ডের হোতা অটোরিক্সা গ্যারেজের মালিক মাঈনুদ্দিন ওরফে ভোলা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন, সে টামটা খাসের বাড়ী এলাকায় ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করছেন, তার বাড়ী চট্রগ্রামের খুলশী এলাকায়। এছাড়া আনসার কমান্ডার আ: ছাওার উপজেলার ১৭ টি দূর্গাপুজা মন্ডপে শান্তি শৃংঙ্খলা রক্ষায় জীবন বাজি রেখে দায়িত্বপালন ও রাত জেগে পাহারারত ছিলেন। মন্ডপে আনসার ভিডিপির সদস্যদের কঠোর দায়িত্বপালন ও যেকোন বিশৃংঙ্খলা এড়াতে সদস্যদের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।