বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন

রূপপুর পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন কার্যক্রম উদ্বোধন রবিবার

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ১৯১ বার পঠিত
আপডেট : রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদীর রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে পারমাণবিক চুল্লিতে রি-অ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপন কাজের উদ্বোধন করা হবে।

রবিবার (১০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কাজের উদ্বোধন করবেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রুপপুর প্রকল্পের অনুষ্ঠান থেকে যোগ দেবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান,স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস।

এসময় নির্মাণকাজের প্রধান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রোসাটমের অন্যতম প্রধান নির্বাহী এলেক্সে লিখাচেভ, বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান,প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর, প্রকল্পের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা অলোক চক্রবর্তী, নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এএসইর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

সূত্রমতে, নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের হৃৎপিন্ড। রবিবার সকালে এটির চুল্লিতে স্থাপন করা হবে। এ কাজে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞদের সাথে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন।

রাশিয়া থেকে রি-অ্যাক্টর প্রেসার ভেসেলটি গত বছর অক্টোবরে রূপপুর প্রকল্পে আনা হয়। ভেসেলটি চুল্লিতে স্থাপন করার জন্য প্রায় এক বছর ধরে অবকাঠামো প্রস্তুত করা হয়।

আণবিক শক্তি কমিশন সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রূপপুরে ২০০ মেগাওয়াটের একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর প্রকল্পটি থেমে যায়।

পরে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান জানান, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেশে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির (ক্লিন এনার্জি) মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে, যা থেকে দীর্ঘ মেয়াদে পাওয়া যাবে সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত বিদ্যুৎ।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, রূপপুর প্রকল্পটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকা। ঋণ হিসেবে রাশিয়া দিচ্ছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। বাকিটা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর