ঢাকার সাভারে একটি মসজিদ ভাঙচুর ও মসজিদ কমিটির সভাপতির ছেলেকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে যুবদল নেতা রাজু আহমেদকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা-পুলিশ। রাজু আহমেদ বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদলের সাভার উপজেলাধীন তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের সভাপতি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার থানাধীন ট্যানারী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন সিকদার।
এসআই সুজন সিকদার বলেন, ‘হত্যা চেষ্টা ও মসজিদ ভাঙচুর মামলার প্রধান আসামি রাজুকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় কামরাঙ্গীরচর থানাধীন ঝালুহাটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার রাজু আহমেদ (৩৮) সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার হারাননগর গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে। মামলার আরেক আসামি রাজু আহমেদের ভাই মান্নান (৩৩) এখনো পলাতক রয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৩ জুলাই জুম্মার নামাজের পর সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার হারাননগর বাইতুল জান্নাত জামে মসজিদে ভাঙচুর চালায় রাজু, মান্নান ও তাদের অজ্ঞাত সহযোগীরা।
ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি কাজী আবুল মাজেদ বলেন, ‘জুম্মার দিন নামাজের পর মসজিদের জানালা ভাঙচুরের খবর জানতে পেরে মসজিদ দেখতে গেলে আমার ছেলে আবুল কাসেমকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। আমার ছেলে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল অনেকদিন। ঘটনার পর আমরা সাভার থানায় অভিযোগ প্রদান করি। ওই দিন মসজিদে করোনা বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আলোচনার সময় রাজুর বাবা মসজিদ থেকে বেরিয়ে যায়। রাজুর বাবা আমাকে মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে গালিগালাজ করে। পরে নামাজ শেষ করে বাড়ি চলে যাওয়ার পর শুনি মসজিদে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা।
মসজিদের জানালা ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অভিযোগ প্রদানের পর গত ২৬ জুলাই মামলা রেকর্ড করা হয়। সে মামলাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সাভার মডেল থানা-পুলিশ।