বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
ফরিদগঞ্জে চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পক্ষ ও ইউপি সদস্যর মধ্যে সংঘর্ষ ভোলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষে যুবক নিহত, আটক ৪ ফরিদগঞ্জে স্বাধীনতা দিবসে শেখ সাজ্জাদ রশিদ’র পক্ষে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের দাপুটে জয় ফরিদগঞ্জে ভূমি অফিসের পিয়ন আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ফরিদগঞ্জে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনে না দেওয়ায় যুবকের আত্মহত্যা বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে : রাষ্ট্রপতি পারিবারিক কলহের জেরে স্কুল শিক্ষিকার গলায় ফাঁস চাঁদপুরে মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্র হিযবুল্লাহর মিছিল রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

ইসি হওয়া উচিত সব দলের ঐকমত্যে : সিইসি

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ২০৪ বার পঠিত
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ

রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) হওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য কীভাবে হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘সেটা মহামান্য রাষ্ট্রপতি করতে পারেন। যেমন গতবার রাষ্ট্রপতি সব দলের নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন। তবে সেটা রাষ্ট্রপতির বিষয়। কী করবেন সেটা ওই স্টেজের বিষয়, আমাদের করণীয় কিছু নেই।’

সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ইসি নিয়োগের রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে সিইসি আরও বলেন, ‘পরের ইসি গঠন করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। সেটা আমি সমর্থন করি। সমর্থনযোগ্য নির্বাচন কমিশন যেন হয়।’

এ সময় ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বলেন, ‘আইন প্রণয়নের বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয় ও সংসদের বিষয়। এ নিয়ে ইসির মতামত দেওয়ার কিছু নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই বিষয়ে মতামত চাওয়া হয় না।’ যদি মতামত চাওয়া হয় তবে সেটি সেসময় ভাবা যাবে বলেও জানান তিনি।

বর্তমান পাঁচ সদস্যের ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। রাষ্ট্রপতি প্রধান দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে এই কমিশন নিয়োগ দিয়েছিলেন। সংবিধানের ‘আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে’ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি উঠলেও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।

যদিও নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিষয়ে অভিজ্ঞরা বলছেন যে, সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে ‘আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে’ নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ প্রদানের নির্দেশনা থাকলেও গত ৫০ বছরে কোনো সরকারই এমন একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে। উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করবেন।”

সেই ধরনের কোনো আইন হতে পারে কি না- জানতে চাইলে কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘আইন তৈরি করে পার্লামেন্ট। এটা আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হয়। তাদের কাছ থেকে এমন কোনো ইঙ্গিত আসেনি আইন করতে হবে, কি হবে না। তারা বলে যে, সাংবিধানিক যে ব্যবস্থা রয়েছে সে অনুযায়ী হবে।’

‘এটা আমরা টেলিভিশন, পত্রপত্রিকায় দেখি। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি। আইন করার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি’, যোগ করেন সিইসি।

‘৬০-৮০ ভাগ ভোট পড়ে, ইসি আস্থায়’

এ সময় নির্বাচন কমিশনের প্রধান দাবি করেন, বর্তমান ইসি আস্থা সংকটে নেই। তিনি বলেন, ‘ইসি মোটেই অনাস্থার জায়গা নয়। জনগণের আস্থা নেই একথা বলা যাবে না, জনগণ তো বলেনি আস্থা নেই।’

সিইসি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের লোকেরা যেটা বলেন, অনেক সময় তারা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করে, তারা বলে জনগণের আস্থা নেই। যদি আস্থা না থাকে যেসব নির্বাচন হচ্ছে তাতে উপচেপড়া ভোটার থাকে কীভাবে, লাইন থাকে, ৬০-৮০ শতাংশ লোক ভোট দেয়। এটা আস্থার জায়গা।’

‘জনগণের আস্থা অবশ্যই আছে, জনগণ ঠিকই ভোট দিতে যায়’, জোর দিয়ে বলেন কে এম নূরুল হুদা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর