শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪০ অপরাহ্ন

মানুষের নাম বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করলে যে গুনাহ

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ২৪৬ বার পঠিত
আপডেট : শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:২২ অপরাহ্ণ

মানুষের জীবনে সবচেয়ে পরিচিত শব্দ হলো তার ‘নাম’। একজন মানুষের কাছে তার সুন্দর নামটি হীরার চেয়েও দামি। প্রত্যেকেই চায় তান নাম যেন সম্মানের সহিত সঠিক ভাবে উচ্চারন হয়। কারণ, জন্ম থেকে মৃত্যু— প্রতিটি স্তরে নাম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয়। এমনকি মানুষ মারা গেলেও অন্যদের মুখে মুখে রয়ে যায় তার নাম।

কারও নাম নিয়ে ট্রল বা ব্যঙ্গ কি জায়েজ?

বর্তমানে অনেককে দেখা যায়, তারা অন্যের নাম বিকৃত করেন। প্রায়ই কাউকে ব্যঙ্গ বা ট্রল করে মন্তব্য করেন বা কথা বলেন। বিশেষ করে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও লাইকিসহ আরও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যঙ্গ ও ট্রলে সয়লাব। তাছাড়া বন্ধু মহল ও গল্প-গুজবের আসর এবং বিভিন্ন আড্ডায়ও অন্যের নাম বিকৃত করা কিংবা তাকে নিয়ে সমালোচনা করা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দুঃখজনক হলো- নাম নিয়ে ব্যঙ্গ করার এই প্রবণতা দিন দিন মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। অথচ ইসলামি শরিয়ত মানুষের নাম নিয়ে ব্যঙ্গ করাকে মারাত্মক গুনাহ ও গর্হিত কাজ বলে ঘোষণা করেছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা সবাইকে সতর্ক করে বলেন

হে ঈমানদাররা! কোনো মুমিন সম্প্রদায় যেন অপর কোনো মুমিন সম্প্রদায়কে উপহাস না করে; কেননা যাদের উপহাস করা হচ্ছে তারা উপহাসকারীদের চেয়ে উত্তম হতে পারে এবং নারীরা যেন অন্য নারীদের উপহাস না করে; কেননা যাদের উপহাস করা হচ্ছে তারা উপহাসকারিণীদের চেয়ে উত্তম হতে পারে। আর তোমরা একে অন্যের প্রতি দোষারোপ কোরো না এবং তোমরা একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পর মন্দ নাম অতি নিকৃষ্ট। আর যারা তাওবা করে না তারাই তো জালিম।’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত : ১১)

মুসলিমের ইজ্জত রক্ষা আবশ্যক

এক হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য মুসলিম ভাইয়ের মান-সম্মান, ইজ্জত-আব্রু ও ধন-সম্পদ রক্ষা করতে বলেছেন। সেগুলো নষ্ট করা কিংবা তাতে অবৈধ হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অপর মুসলিমের জান, মাল ও ইজ্জত হারাম।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৬৪)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর