চাঁদপুর প্রতিনিধি
বিশ্বে করোনা ভাইরাসের মহামারী সংক্রমনের কারনে বাংলাদশেও এ রোগের প্রভাব বিস্তার হয়।ফলে দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রম রোধে সরকার গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে অনিদিষ্ট কালের জন্য দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা কর।এ সংক্রম না কমায় দফায় দফায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধি করে শিক্ষা মন্ত্রালয়। ফলে একযোগে বন্ধ থাকে প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সকল শিক্ষা প্রতষ্ঠান।এরমধ্যে চাঁদপুররে ৮ উপজলায় প্রাথমিক, মাধ্যামিক এবং,কলেজসহ ২ হাজারেরও বেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আর প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে প্রায় ১ হাজার ২ শত টি ।
অবশেষে দীর্ঘ ৫৩৪ দিন পর অপেক্ষার পালা শেষে গতকাল রোববার সারাদেশের ন্যায় খুলে দেওয়া হলো চাঁদপুরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । আর চাঁপুরের প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের অপেক্ষার পালার অবসান হয়।
ফলে খোলার প্রথম দিনেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারনায় সরগম হয়ে উঠছেে চাঁদপুরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।দীঘ প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে পেরে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ যেন ঈদ কিংবা অন্যান্ন ধমীয় উৎসবের আনন্দকেও হার মানিয়েছে । সরেজমিনে চাঁদপুরের প্রধান বিদ্যাপীঠ চাঁদপুর সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে ছাত্র-ছাত্রী-শিক্ষকদের পদচারনায় শ্রেণী ও ক্যাম্পাসগুলো তার পুরোণো রুপ ফিরে পেয়েছে । যদিও শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক পঞ্চম শ্রেণী,এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী ব্যাতিত অন্যান্ন শিক্ষার্থীদের ক্লাশ সপ্তাহে একদিন করে নির্ধারণ করা হয়।তারপরও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চাসের কমতি ছিলোনা । এদিকে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন শতভাগ না কমায় সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেন । শতভাগ মাক্স ব্যবহার, সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে প্রবেশ, হ্যান্ডস্যানিটাইরিজ ব্যবহার ও সামাজিক দুরুত্ত্ব বজায় রেখে পাঠদান পরিচালনা করা হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চাঁদপুরের একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নোউত্তরে ১২ সেপ্টেম্বর দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষনা দেন। এর পরপরই বিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি হিসেবে ইতির্পূবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিস্কান পরিচ্ছন্ন করা হয়।
কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের অনুভুতি জানতে চাইলে তারা বলেন, দীর্ঘ দেড় বছর পর হলেও আমরা শ্রেণী কক্ষে ও শক্ষিা প্রতিষ্ঠানে ফিরদে পেরে কি যে আনন্দ অনুভব হচ্ছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। শিক্ষার্থীরা আরো বলেন করোনাকালীন সময় দীর্ঘ দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় আমরা আমাদের সহপাঠিরা একে অপরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম।আজ একসংগে ক্লাশে ফিরতে পেরে অনেক ভালো লাগছে । একই অনুভুতি ব্যাক্ত করেন শিক্ষরাও ।
দীর্ঘ দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে অনুভুতি জানতে চাইলে বাগাদী আহম্মদীয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার আরবির প্রভাষক আল্লামা মাহফুজ উল্লাহ খান ইউসুফী বলেন আমার কাছে খুবই আনন্দ লাগছে। আজ পুরো দেশে আনন্দ-উৎসব বইছে।
চাঁদপুর সরকারী কলজেরে অধ্যক্ষ প্রফেসর অশতি বরন দাস বলনে, এটি আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দের ও উচ্চাসের বিষয়। আমাদের ছেলে-মেয়েরা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনায় ফিরতে যে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেছেন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি তা প্রমান করে । ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকদের শুধু পড়াশুনার সম্পের্কে সীমাবদ্ধ নয়। একে অপরের সাথে দায়িত্ব কর্তৃব্য় পরায়ণতা ভালোবাসা ও ভবিষৎ সু-নাগরিক গড়ারও সর্ম্পক রয়েছে ।