বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত মন্ত্রীসভার একজন সদস্যের সুনাম ক্ষুন্নের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক প্রবীর সিকদার।
রায়ের পর মি. সিকদার বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি আমি। ছয় বছর লড়াই করেছি। কখনো মাথা নত করিনি। আমি মনে করি এ রায়ের মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতার জয় হয়েছে।”
বর্তমানে একটি দৈনিক এবং একটি অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক মি. সিকদার ২০০১ সালে ঢাকার একটি দৈনিকের ফরিদপুর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সময় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছিলেন।
তবে ২০১৫ সালে ফেসবুকে লেখালেখির জের ধরে তখনকার একজন মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সুনাম ক্ষুণ্ণের অভিযোগ করে প্রবীর সিকদার মামলাটি ছিলেন ফরিদপুরের এপিপি স্বপন পাল।
ওই লেখায় মিস্টার সিকদার নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তার কিছু হলে ওই মন্ত্রীসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে, তারা এর জন্য দায়ী হবেন বলে মন্তব্য করেন।
তবে মিস্টার হোসেন এ বিষয়ে তখন বিবিসি বাংলাকে তখন বলেছিলেন যে ‘এটি পাগলামি ছাড়া আর কিছু বলে মনে করি না’।
এরপর মিস্টার পালের মামলার জের ধরে মিস্টার সিকদারকে আটক করে পুলিশ এবং এ মামলায় তাকে রিমান্ডও দেয়া হয়েছিলো।
তবে মামলাটি তথ্যপ্রযুক্তি আইনে হওয়ায় সাংবাদিকসহ পেশাজীবীদের তীব্র সমালোচনার প্রেক্ষাপটে রিমান্ড চলাকালেই জামিনে মুক্তি পান তিনি।
পরে ২০১৬ সালে পুলিশ আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র দেয় ও ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলার অভিযোগ গঠন করেন।
এরপর নানা ধাপ পেরিয়ে আজ এ মামলার রায় হলো যতে মিস্টার সিকদার খালাস পেলেন।