রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব হচ্ছেন মিয়া মোটলি শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মবার্ষিকীতে দোয়া মিলাদ মাহফিলে ও আলোচনা সভা।  ধেররা ইমামে রাব্বানী দরবার শরীফের উদ্যোগে জশনে জুলুস বৃহস্পতিবার থেকে টানা ৩ দিনের ছুটি হাজীগঞ্জে ১২০ কেজি জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাটিতে পুঁতে ফেলা হলো প্রায় পঁচিশ বছর পর রামচন্দ্রপুর ফাযিল মাদরাসার সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ হাজীগঞ্জের মোহাম্মদপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে অবৈধ ড্রেজার বিনষ্ট প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ওবায়দুল হাসান হাজীগঞ্জে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক নারী আটক হাজীগঞ্জের এন্নাতলি গ্রামে দুইটি বসতঘর পুড়ে ছাই, ৮ লাখ টাকার ক্ষতি

জুমার দিন মুসলমান মারা গেলে কি কবরের আজাব মাফ?

মেঘনার আলো ২৪ ডেস্ক / ২৮১ বার পঠিত
আপডেট : শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ

জুমার দিন যদি কারও মৃত্যু হয়, তাহলে এই মৃত্যুর কি বিশেষ কোনো ফজিলত আছে? অনেককে বলতে শোনা যায়—  জুমার দিন মারা গেলে অনেক ফজিলত। সুতরাং এ দিন কেউ মৃত্যুবরণ করলেই বিনা হিসেবে জান্নাতে চলে যাবেন।

তাদের এই কথার বাস্তবতা কতটুকু? শরিয়ত এই ব্যাপারে কী বলে?

শুক্রবারে মৃত্যুবরণ করলে— জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় কিংবা সরাসরি বিনা হিসাবে জান্নাতে চলে যাবেন, এ মর্মে কোরআন-হাদিসের কোথাও কোনো দলিল খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে কবরের আজাব থেকে বাঁচার ব্যাপারে হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান জুমার দিনে কিংবা জুমার রাতে মৃত্যুবরণ করবে, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তাকে কবরের ফেতনা থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১০৯৫; মিশকাত, হাদিস : ১৩৬৭; মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১১/১৪৭)

উপর্যুক্ত হাদিসের আলোকে ইসলামি স্কলারগণ বলে থাকেন যে, শুক্রবারে মৃত্যুবরণ করলে বিনা হিসেবে জান্নাত বা কিয়ামত পর্যন্ত কবরের আজাব মাফ এ কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। এ সম্পর্কে মুল্লা আলী কারী (রহ.) বলেন, জুমার দিনে বা রাতে যে মারা যাবে, তার থেকে কবরের আজাব উঠিয়ে নেওয়া হবে এটা মোটামুটি প্রমাণিত। তবে কিয়ামত পর্যন্ত আজাব আর ফিরে আসবে না এ কথার কোনো ভিত্তি আমার জানা নেই। (মিনাহুর রাওদিল আযহার ফি শরহি ফিকহিল আকবার, পৃষ্ঠা : ২৯৫-২৯৬)

বোঝা যাচ্ছে, শুক্রবার দিনে অথবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত— এই সময়ে মধ্যে কোনো মুসলিম ব্যাক্তির মৃত্যু হলে, সেক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা তাকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে থাকেন। অর্থাৎ তাকে কবরের আজাব থেকে ফেতনা থেকে মুক্তি লাভ করিয়ে থাকেন।

আর স্বাভাবিকতই কেউ যদি কবরের অজাব থেকে মুক্তি লাভ করেন, তাহলে কিয়ামতের দিনের হাশরের মাঠে হিসাব-নিকাশ তার জন্য সহজ হয়ে যাবে বলেও আশা করা যায়।

এই বিষয়টি সম্পর্কে উসমান ইবনে আওফান (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘কবর হলো আখিরাতের ঘাঁটিগুলোর মধ্যে প্রথম ঘাঁটি। এই ঘাঁটিতে যদি কারও জন্য প্রশ্নোত্তর সহজ করে দেওয়া হয়, এই ঘাঁটিতে যদি কেউ কোনো বড় বিপদে না পড়েন অর্থ্যাৎ সহজেই পার পেয়ে যান— তাহলে পরবর্তী ধাপগুলো ও তিনি সহজেই উত্তীর্ণ হতে পারবেন, সেই আশা করা যায়। (সূত্র : শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানি (রহ.); আহকামুল জানাইজ, পৃষ্ঠা : ৫০; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হাদিস : ১২৫)

হাদিসে আরও বলা হয়েছে, ‘আর যদি কবরের ঘাটি কারও জন্য কঠিন হয়ে যায়, তাহলে পরবর্তী যে ধাপগুলো রয়েছে সেগুলো আরও কঠিন হবে।’ ( তিরমিজি, হাদিস : ২৩০৮)

এই হাদিসগুলোর আলোকে বুঝা যায়, জুমার দিনে কারও মৃত্যু হলে—  সেটা নিঃসন্দেহে একটি ভালো বা শুভ সংকেত। অর্থাৎ বলা যায় সেই ব্যক্তি ভালো মৃত্যু বরণ করলেন এবং এর ফলে তার আখিরাতের প্রতিটি ধাপ তার জন্য সহজ হবে আশা করা যায়।

তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে, আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি না যে জুমার দিনে কেউ মৃত্যু বরণ করলে তিনি সরাসরি জান্নাতে যাবেন এবং তার কবর আজাব কেয়ামত পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে সেই মৃত ব্যক্তির জন্য সুধারণা রাখা ভালো।

আল্লাহ আমাদের সবার জন্য ভালো মৃত্যু নির্ধারিত করে রাখুন। ভালো মৃত্যু, কবরের আজাব মাফ ও আখিরাতে শান্তিতে থাকার জন্য যেমন আমল করা দরকার— সে রকম আমল করার তাওফিক দান করুন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর